লোকে তাকে অভাগিনী বলে,
গ্রামের শেষ প্রান্তে তার ঘর।
মনে কত দুঃখ কত অভিমান
সব ছিল একদিন ঘর পরিবার সব,
কিন্তু সেই রাত্রি কেড়ে নিল সব
পনের টাকা দিতে না পারায় লগ্ন ভ্রস্টা হল সে
ছাদনাতলা থেকে গেল ফিরে সব।
তার বিধবা মা-এর করুন কান্না শুনতে পাইনি কেউ;
লোকে তাকে কলঙ্কিনী বলে, ছায়া মারায় না
সত্যি সেই কি কলঙ্কিনী সেই দায়ী?
নাকি দায়ী যারা পনের টাকায় আমোদ করে,
সেই কথা বেরোয় বিন্দু বিন্দু চোখের জল হয়ে
প্রতিমুহুর্তে যায় ধুলিকনায় মিশে।
লোকে তাকে অভাগিনী বলে
গ্রামের শেষ প্রান্তে তার ঘর।।