ইন্দ্রের রাজসভায় হছ্ছে আলোচনা,
কলকি অবতার হতে কে ইছ্ছুক আর কে না;
সব দেব দেবীগন হাজির এই সভায়
মত্তে যাওয়া নিয়ে সকলের মনে ভয়।
ব্রহ্মা- দেখ বাপু বয়স হয়েছে, আমায় তোমরা বাদ দাও
         বিষ্ণু তুমি বর্ং এবারটাও চলেই যাও
বিষ্ণু- প্রতিবার আমি গেছি, এইবার আর পারবনা
        মহাদেব কে পাঠিয়ে দিন আমায় করুন ক্ষমা।
মহাদেব-কৈলাশেতে সুখে থাকি, গাজা ভাঙ খেয়ে
            নন্দী ভৃঙ্গি, পার্বতী, দুই ছেলে নিয়ে
           আমি যেতে পারব না এই বলে দিলাম
           বেশি জোর করলে, আমি চল্লাম
ইন্দ্র- তাহলে এখন কি হবে উপায়?
       অব্তার বানানোর মত আর কেউ নাই।
      লক্ষ্মী, দুরগা কেউ যদি যেতে চান
      তাহলে তাড়াতাড়ি চলেগিয়ে ঝামেলা থেকে বাচান।
লক্ষ্মী-মাথা খারাপ! মেয়েরা কেউ যাবে না
        মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে ওখানে বড় ঝামেলা।
ইন্দ্র- নারদ মুনি এখানে তো তোমার বিশেষ কাজ নাই
        অবতার হয়ে তুমি চলে যাও ভাই
নারদ-পারব না এই স্পষ্ট বলে দিলাম।
         শুনেছি ওরা নাকি সব নেতাদের কেনা গোলাম
         আমি স্বাধীন চেতা লোক এখানে ওখানে যাই
         গোলাম হয়ে থাকব আর কোন কাজ নাই।
ব্রহ্মা- তবে ওই ব্যাটা মহিষাসুর ওটাকেই ডাকো
মহাদেব- হাসালেন, ওটাকে দিয়ে কিছু হবেনাকো
দুরগা-কথাটা ঠিক বলেছেন এক্দম সত্য
         একটাও মাথামোটা দেখিনি ওর মত
বিষ্ণু- ভাল কথা ওইরকম একটা দরকার
          ওরা ঐ রকম লোকের করে জয় জয়কার
ইন্দ্র- তা এবার কি কোনো রাবন বা কংস রাখবেন?
ব্রহ্মা- না, না ওখানে খুঁজলে প্রচুর পাবেন
সবাই-তালে বেশ বেশ ওই ক্থায় থাকল
   এই বলে সেদিনের সভাটা ভাঙলো।।