ছোট থেকে তোতা পাখির মত আওড়ানো
চেনা সূত্রগুলো আজ অচল,
যতই পাতার পর পাতা অঙ্ক কষি
ভাগশেষে হয় শূন্য নয় অমিল


লক্ষীর পাঁচালি পড়ে আর শিবের মাথায় জল ঢেলে
যে মেয়েটি  হতে চেয়েছিল সতীলক্ষী,
স্বপ্ন দেখেছিল সোনার মোড়কে সাজানো সংসার
পরিশেষে তার ঝাঁপিতে জমা হল এটো কাঁটা।


সোজা বা বাঁকা পথে শুদ্ধ বা অশুদ্ধ জল খেয়ে
যে ছেলেটি ছুঁয়েছিল দর্পের চূড়ামণি,
সময় ও কাজের ভারে কুঁজো হয়ে
শেষ বিশ্রাম নিতে হল অবহেলার রংচটা চাদরে।


চেনা সূত্র ধরে হাটতে গিয়ে শুধুই ঘুরপাক খাই
পাই না খুঁজে কোন সমাধান,
এখন সময় সূত্রবিহীন জীবনযাপন
হয়তো দিনান্তে মিলে ও যেতে পারে অঙ্ক।


*স্বরূপা দত্ত*