শেষ রাতের গল্প
---------------------
রাত আরো প্রগাঢ় হলে
শরীর বেয়ে নামে অন্ধকার
ধূসর মেঘের আড়ালে
পূর্ণিমার চাঁদের বাঁকা বিদ্রূপাত্মক হাসি,
বুকের ভেতর জ্বলতে থাকা তুষের আগুন
দাবানল হয়ে পুড়ে ছাই করে মন।


দূরে মগডালে বসা পেঁচার ডাক আর সাইরেনের শব্দ
নিস্তব্ধতা ভেদ করে ক্রমশ প্রকট হতে থাকে,
সজোরে কান চেপে ধরি
বুকে বাজে দামামা,
বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে কপালে।


ঘরের দেয়াল ফুঁড়ে অজস্র হাত
আমার টুঁটি টিপে হত্যা করতে চায়,
পালানোর সব পথ বন্ধ।


দেয়ালে ছোপ ছোপ তামাটে রক্তের দাগগুলো
আবার তাজা হয়ে উঠেছে
ঘরময় রক্ত,  পা পিছলে যাচ্ছে
উফ্ ! কি বিভীষিকাময় রাত ছিল!


ঠান্ডা অবশ হয়ে আসছে শরীর
হ্নদ-স্পন্দন নিবু  নিবু
ভীষণ শ্বাসকষ্ট --যেন দমবন্ধকর অবস্থা,
ইন্দ্রিয়গুলো অকেজো হয়ে যাচ্ছে
ঘামে ভিজে যাচ্ছে বিছানার চাদর,  বালিশ।


নিশির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর ছেড়ে বের হব
অমনি একটা হাত শক্ত করে চেপে ধরল,
অস্পষ্ট ভোরের আলোয় ঝাপসা চোখে
দেখলাম তাকে,  আমার ভবিষ্যৎ।


প্রসন্ন হাসি ঠোঁটে লাগিয়ে
ক্লান্ত চোখদুটো ডুবে গেল গভীর নিদ্রায়।