প্রকৃতি কবিতা সিরিজ
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া


১.
ঘাসফুলের মতো কোন মাটিরঙা গন্ধ নেই আমার বুকে
প্রজাপতির মতো নানারঙের প্রলেপ নেই আমার পোশাকে
তবুও তাজা সবুজ পেয়ারার মতো একটি হৃদয় আছে
যেখানে কারও ছায়া কিংবা মায়া এখনও জড়ায়নি কিছু।


২.
একটি প্রজাপতি হয়ে কবে উড়ে যেতে চেয়েছি  আমি অজানায়
একটি নাম না জানা গাছ হয়ে কবে জন্মাতে চেয়েছি মৃত্তিকায়
কিন্তু আমার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়, আমি প্রজাপতিও হতে পারিনা
আমি গাছও হতে পারিনা, আমি শুধু এক অভিশপ্ত মানুষ হয়ে আছি।
৩.
তোমাকে খুঁজি বসন্তে, তোমাকে খুঁজি শীতে
তোমাকে খুঁজি পাহাড়ে তোমাকে খুঁজি নদীতে
কিন্তু কিছুতেই আমি তোমাকে খুঁজে পাইনা
তোমাকে আমি খুব করে ছুঁতে চাই একান্তে
কিন্তু তোমাকে পাইনা কোথাও, তুমি কোথাও নেই,
কেন আমি তোমাকে খুঁজে পাইনা বলো?


৪.
আমার ঘরের দারুণ অন্ধকারে তোমার মুখ
গ্লাসের অর্ধেক পানি আর অর্ধেক অ্যাবসুলট
সিডি প্লেয়ারে গান ধরেছে মির্জা গালিবের সঙ্গী
আর টেলিভিশনে বলিউড সুন্দরী করছে নানা ভঙ্গি।


৫.
আমি এই শহরে তার যোগ্য পুরুষ হয়ে উঠতে পারিনি
গ্রামের ছেলে, সবুজ ফেলে একটুও আকাশ ছুঁতে পারিনি।
৬.
পাতার পোশাকে তোমাকে সাজাবো বলে বসে আছি
রঙ হবে প্রজাপতির পাখার মতো, গন্ধ হবে মৃগনাভি
আমার এই সাজঘরে কোন কৃত্রিম উপকরণ নেই
যা আছে সবই প্রাকৃতিক, সবই মৃত্তিকাজাত প্রকৃতির।
কিন্তু তোমার কোন দেখা নেই, তুমি পড়ে আছ জলসাঘরে
যেখানে মিছেমিছি চলে জীবনের কানামাছি ডুবসাঁতার খেলা
জীবন পরাজিত হলেও আসল মানুষ কখনো পরাজিত হয় না
রঙবাজার তোমাকে যত দূরেই নিয়ে যাক, আমি প্রকৃতিপ্রেমি
বসে থাকব তোমার অপেক্ষায় পাতার সজ্জায় ঘাসের ওপর।