অনাঘ্র্রাতা! মনে পড়ে কাঠ ফাটা গ্রীষ্মের
তাপদগ্ধ রাতের দ্বিপ্রহরে
তুমি-আমি বসেছিলাম পাশাপাশি
ধর্মঘটে নির্জন উত্তপ্ত রাজপথটায়।
তুমি রচেছিলে ভালবাসার ফুলঝুরি
আবিষ্ট করেছিলে জীবনের প্রথম প্রেমে
তোমার বিরহের বারি সিঞ্চিত হয়েছিল
তোমারই গানে, আমার প্রতিটি অনুভবে।


তোমার নিত্যকার সানন্দিত আপ্যায়ন
হাতছানিতে আজোও কাছে টানে।
সহ-পাঠে তোমার স্বেচ্ছাকৃত দান
আজো স্মরণে অম্লান।


তোমরা প্রতিটি সদস্য যে-করে
ভালবাসার শৃঙ্খল পড়িয়েছিলে
তা থেকে মুক্তি পাবার দুঃসাহস
আজো হয়নি আমার।


তোমার কুমারিত্বের অবসান-লগ্নে
জানতে চেয়েছিলে আমার মানসিক প্রস্তুতি
চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
কিন্তু, সিদ্ধান্ত নেবার মানসিক বৃদ্ধি
তখন কি ছিলো আমার!
জানি, ভীষণ ব্যথা দিয়েছিলাম সেদিন
কিন্তু প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ আর হলো না!
তবু প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলে
স্মরণ করি যেন তোমায় ‘সময়ে’
আর অর্পেছিলে ব্যাথাতুর চিত্তের শেষদান
‘যেকোন অনুজাকে নির্বাচনের মুক্ত অধিকার’।


অনাঘ্রাতা! তোমার কোনো দানেরই
মর্যাদা আমি দিতে পারিনি।
তাইতো স্মৃতির ভেলায় চড়ে ফিরতে চাই
তোমার ভালবাসার সুললিত আঙিনায়।