শ্রমিক সদা মার খায় ধনিক-বণিকের হাতে,
বণিক সদা ব্যস্ত অতি আপন আখের গোছাতে।
শোষক আয়েশে চলে শোষিতের চড়ে ঘাড়ে,
শোষিত সয়ে যায় ব্যথা সব ঘাড় না নেড়ে।
শোষক গড়ে বাড়ি-গাড়ি আর সম্পদের পাহাড়,
শোষিত চাটে শোষকের ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট হাড়।


শ্রমিক ঠকাতে শোষক কৌশল রচে নিত্যনূতন প্রতিদিন,
তাতেই শ্রমিক যায় মাঠে মারা দিনের পর দিন।
মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার নেই তার যে হিম্মত,
শোষকের যাঁতার তলায় চাপা পড়ে তার কিসমৎ।
কভুও হবে না অবসান শোষক-শোষিতের এ ব্যবধান,
না জাগলে শোষকের মনে বিশ্বাস স্রষ্টার প্রতিদান।


(১লা মে ২০১৬)