কবিতারা নাজিল হয় -  
কখনো রাত-দুপুরে কিংবা ভোর-রাতে
করে প্ররোচিত অনিদ্রায় রাত পোহাতে;
অথচ সকাল সকাল শয্যা নেয়া যে
আমার মাতৃগত আজন্ম স্বভাব
আর ভোরে জাগা পক্ষীর প্রভাব
কিংবা স্রষ্টার সনে জমাতে সৃষ্টির ভাব।
কবিতারা তাই তীব্র প্রতিপক্ষ নিদ্রার
কিংবা স্রষ্টার তরে আরাধনার।


জনৈক কবিকে ঘিরে আড্ডার আসরে
বললাম কবির কানের কাছে গিয়ে,
‘নামাজটা আদায় করে আসি’;
অমনি উঠলেন তিনি যেন চেঁচিয়ে,
‘কবিদের নামাজের আছে কি প্রয়োজন?
ইবাদাত তা-ই কবি যা করেন সৃজন’।
বিষয়টি তুললো ভাবিয়ে আমায় বেশ
অথচ পাচ্ছি না উত্তর কোনো এর শেষ।


গিন্নিকে আমার বললাম একদিন
কী হলো বলো তো আমার দিকিন?
নামাজে দাঁড়ালেই হয় কবিতারা নাজিল
না পারি দিতে নামাজে মন
না যায় তখন কবিতা লিখন
অথচ উভয়টি হয়ে যায় যে বাতিল!


গিন্নি শুধালেন,
‘শয়তান নিশ্চয় নিয়েছে তোমার পিছু
দেখো,
সে যেন তোমার বিনাশ না করে কিছু'!

আমি এখন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে দিশেহারা
দেবো, কবির না বউয়ের বচনে সাড়া?


(২১/০৩/২০২৩; সকাল: ৬টা)