তুমি আমার পবিত্রতার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিমা,
তোমাকে ভাবি,কল্পনা করি আমার মনের রাজ্যে
তোমার ঠোটের কোনে লজ্জার আবারণে মিষ্টি লাজুকতা,আমায় চিঠি লিখে
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা।
মুক্তঝরা হাসিটা যখন হঠাৎ করে উপস্থাপন করো,
তখন মনের গহীনে কি যেন হয়ে যায়
আমি বিভোর হয়ে নির্বাক দুচোখে চেয়ে থাকি,
ছন্দময় সে হাসিটা তেপান্তর জুড়ে কেমন এক সুর তুলে,
প্রতিধ্বনি বার বার আঘাত করে আমার নিরবতাকে।
তোমার কথা বলার ভঙ্গি ঠিক অন্যরকম,
ভীষণ রকম সুন্দর ভাবে কথা বলো তুমি
আমি কবিতা ভালোবাসি,
তোমার কথা বলা আমার কাছে মনে হয় যেন ভালোবাসার মুগ্ধকারী নূতন কোন কবিতার আবৃতি।
সুন্দর্য কাকে বলে বুঝতাম না,
দেখা হয়নি গোলাপের মধুর্যময় রূপ
আমি দেখেছি তোমায়, আমার দুচোখে,
কি নেই তোমার মাঝে,মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁর সবটুকু সৌন্দর্য দিয়ে তোমাকে সৃষ্টি করেছেন
অপরূপা তোমার দেহ যুগল, হারিণী দুচোখে যেন নিরন্তর স্বপ্ন ছোঁয়া দেয় আমাকে
নিশ্চুপ যখনি উদাসীন ভাবে ঐ পথে হেটে চলো,
অপলক সৃষ্টির পানে তোমায় দেখি
দেখতে দেখতে নিজের অজান্তে তোমার মায়াজালে জড়িয়ে উপন্যাসের কথামালার ক্যানভাসে হারিয়ে যাই
সেখানে তুমি আর আমি
দুজনার গল্প নিয়ে নিয়ে একটা ভালোবাসার পরিপূর্ণ পৃথিবী খুঁজে পাই
গুটিগুটি পায়ে একটু একটু করে যখন সামনে দিয়ে চলে যাও,
আমার স্বপ্নের ঘোর ভেঙে যায় সুভাষিত তোমার শরীরী গন্ধে
তোমার শরীরী গন্ধ আমাকে পুলকিত করে
দিনের সুরুজ লুকিয়ে চাঁদনী পূর্ণিমারাত এনে দেয়।
আমার অনুভূতির সবটা কেবল তোমাকে ঘীরে,
তুমি চাইলে বৃষ্টি, মেঘও আছে রাজি
অপেক্ষা শুধু বর্ষণের
দিবে কি আমার ভাবনার দাম,
ডানামেলে এক সাথে উড়ে চলার অভিপ্রায় করে পূরণ
জানিনা,হয়তো বলতেও পারবোনা
আমার লিখা কবিতার স্পন্দন জুড়ে কেবল তুমিই থাকবে হয়ে অনন্তযৌবনা
বাস্তবে নাইবা হোক, সে কল্পনায়
মেঘ বিলাসী দিনে একন্ত বৃষ্টির অপেক্ষাতে তোমাকে খুঁজে নিবো মনের রাজ্যে
পাণ্ডুলিপির সংমিশ্রণে হয়তো কিছু অপূর্ণতা স্থান পাবে ডায়েরীর পাতায় পাতায়
সেগুলো ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়বে বিষাদের ছোঁয়ায়
তবো নিরন্তর একা আমি, তোমাকেই ভালোবেসে যাব রোদ,বৃষ্টি,মেঘলা দিনে।
-------------------