হিমশীতল মৃত্যুর তীব্রতা
সাইয়িদ রফিকুল হক


ভণ্ডসাধুর আনাগোনা বেড়ে গেছে খুব বেশি,
পশুগুলো মানুষ-মেরে ফুলায় শুধু পেশী!
বোমা হাতে আজকে কারা শকুন-রূপে?
চিরচেনা পশুর হাতে যাচ্ছে মানুষ মৃত্যুকূপে।
কত ভাই-বোন আর যে এমন মরবে অকালে,
জানি নাতো বন্ধুসকল কী যে ঘটবে কাল সকালে!
কত দেখবো এমনতর নিরীহজনের বিকৃত-লাশ,
আজও শুনি ওই মানুষের বুকফাটা দীর্ঘশ্বাস।
তীব্র থেকে আরও তীব্র—বাড়ছে বেশি কাল-ভণ্ডামি!
সাধুপুরুষ কোথায় গেছে? কে তাড়াবে এমন ষণ্ডামি?
জেগে ওঠো মানুষজাতি—নিজের স্বার্থে প্রয়োজনে,
বারুদবক্ষে দৃপ্তকণ্ঠে শামিল হওরে ভণ্ডনাশের আয়োজনে।
আবার কবে বাড়বে দেশে মানুষজাতির জেগে ওঠার তীব্রতা?
জাতির সাথে করছে কেন ওই পথহারা মানুষগুলো শত্রুতা!
ফিরে এসো ভ্রান্তমানুষ ভুলের ঘরে চিরতরে লাথি মেরে,
দেশ-মানুষকে ভালোবাসো—লাভ কি কারও জীবন কেড়ে?
কবে ঘুচবে এই আমাদের স্বদেশ থেকে হিমশীতল মৃত্যুর তীব্রতা,
ফিরে আসুক সবার মাঝে চিরচেনা ভালোবাসার কাঙ্ক্ষিত-আর্দ্রতা।


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।