কৃত্রিম জীবন
সাইয়িদ রফিকুল হক


স্বাভাবিক জীবন তোমরা ছেড়ে দিয়েছো অনেক আগে
এখন তোমাদের চলছে শুধু জীবন নিয়ে অভিনয়,
তোমরা এখনও অহংকারে ডুবে আছো
আর থাকবে আমৃত্যু,
আর তোমরা একেকজন অহংকারী-সম্রাট।


সাধারণ মানুষকে তোমাদের মানুষই মনে হয় না!
মানুষকে দেখে তাই তোমরা হাসতে ভুলে গেছো,
তোমাদের চোখের কোণে জমে আছে ইতরের লোভ,
তোমরা শুধু মানুষের কাছে সম্মান ভিক্ষা করে বেড়াও!
কিন্তু এখনও জানো না কী করে মানুষকে ভালোবাসতে হয়,
আর তোমরা জানো না কী করে মানুষকে সম্মান করতে হয়।


শুনেছি, তোমরা একেকজন নাকি সমাজের খুব বড় মানুষ!
তোমরা দখল করে রেখেছো সরকারি বড়-বড় পদগুলো,
তোমাদের বিদ্যার চেয়ে আজ তোমাদের পদ আর পদবী বড়!
তোমাদের যোগ্যতার চেয়ে আজ তোমাদের বেতন-ভাতা বেশি!
তোমরা আমলা, তাই সবখানে আজ তোমাদের নগ্নহাত,
আর তোমাদের নগ্নহাতের দাপটে এখনও বোনাস পায় না
এই বাংলার মানুষগড়ার কারিগর—অবহেলিত শিক্ষকসমাজ।


তোমরা একবার মনে করে দ্যাখো তো
এই বাংলার গরিবের দুঃখে কোনোদিন একটু আফসোস করেছিলে?
আর বানভাসি-মানুষের দুঃখে একটু কষ্ট পেয়েছিলে?
না-না, তোমরা কোনোদিনও মানুষের দুঃখে কাঁদবে না
সে তো আমরা জন্ম থেকে খুব ভালোভাবে জানি,
আর আমরা তোমাদের খুব ভালোভাবে চিনি।
মানুষের কথা ভাবতে বুঝি তোমাদের লজ্জা করে?
না-না, লজ্জা তো তোমাদের নাই,
তবে কেন এই ঔদাসিন্য আর অভিনয়?
তোমাদের আছে শুধু সীমাহীন লোভ,
আর সেই লোভ যেকোনো ইতরপ্রাণির চেয়ে ভয়ানক!
তোমরা মানুষ নও—তোমরা শুধু স্বার্থপর,
তোমরা মানুষ নও—তোমরা শুধু কৃত্রিম!
তোমরা কৃত্রিম মানুষ—তাই তোমাদের চলছে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস।


সাইয়িদ রফিকুল হক
পূর্বরাজাবাজার, ঢাকা,
বাংলাদেশ।
১৯/০৬/২০১৭