তোমার মুখের এক টুকরো হাসি
সাইয়িদ রফিকুল হক


অনেকদিন আগে কোনো এক শরতের সকালে
খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম তোমার মুখের
এক টুকরো হাসি—সোনালি-রোদের মতো!
আর তা মিলিয়ে গেছে মেঘের আড়ালে।
তোমার সেই হাসিটুকু আজও খুব মনে পড়ে
আর খুব ভালো লাগে সেই হাসিটুকু মনে হলে,
তারপর কত নদীর জল শুকিয়ে গেল,
আর কত নদীতে জমলো ভয়ানক বালুচর,
আরও কত নদী দখল করে নিলো ভূমিদস্যু!
কতদিন চলে গেল এভাবে নীরবে,
তবুও দেখা হলো না তোমার সেই হাসি!


তোমার মুখের এক টুকরো হাসি
আজও মিশে আছে আমার হৃদযন্ত্রে,
আর তা তুলে রেখেছি এখনও সযত্নে।
সেই হাসিটুকু আমার জীবনে বারবার
দুঃখ-নদী সাঁতার কেটে আমাকে একটুখানি
সুখ দেওয়ার অভিলাষে ভেসে ওঠে স্মৃতিপটে!
তবুও আমি আজও সুখী হইনি।
আমার শুধু দেখতে ইচ্ছে করে
তোমার সেই মোহন-মধুর জীবন্ত হাসিটুকু।
কোথায় পাবো মধুরিমা, তোমার সেই জীবন্ত হাসি!
আজও শরত আছে আমাদের এই পৃথিবীতে,
আজও কত সকাল ঝরে যাচ্ছে এই সুন্দর শরতে!
আজও কত শিউলি ঝরে নীরবে এই সুন্দর শরতে,
মধুরিমা, অনেকদিন আগের মতো
তুমি তো আসতে পারো সেই হাসিটুকু নিয়ে
কোনো এক শরতে আমাদের স্বপ্নের পৃথিবীতে।


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১১/১০/২০১৬