তুর্কি-মোগলগং
সাইয়িদ রফিকুল হক


মোগল বলি পাঠান বলি
সবই ছিল শয়তান,
সব শালা যে দখল নিতো
বাংলাদেশের ময়দান।
বিদেশ থেকে পশুগুলো
আসতো জমির লোভে,
রাজ্যগড়ার ধান্দাবাজি
ছিল ওদের স্বভাবে।
ওদের যদি মানুষ বলি
পশু বলবো কাকে?
তুর্কিগুলো আরও পশু
মারতো মানুষ যাকে-তাকে!


পশুর দলে রাজ্যলোভে
ছুটতো দলে-দলে,
ধর্ম-নামে ধান্দাবাজি
চলতো ছলে-বলে!
মোগল বলি পাঠান বলি
সবই ছিল পশু,
রাজ্যলোভে মারতো ওরা
নারী-পুরুষ-শিশু।
মোগলযুগে ধর্ম ছিল
বলছে তোমায় কে?
তুর্কিপশু মারতো মানুষ
নির্বিচারে ডেকে।


তুর্কি-মোগল পশুগুলো
চিনতো শুধু ধন,
মানুষ-মেরে করতো ফুর্তি
বুঝতো নাতো মন।
নিজের সুখের রাজ্যলোভে
টানতো ওরা ধর্ম,
পশুগুলো জানতো নাতো
ধর্মকথার মর্ম।
মানুষ-মারা নেশা ছিল
রাজ্যলোভী শাসকদের,
পাপের ছায়া চাই না দেখতে
তুর্কি-মোগলগংদের।


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৪/০৪/২০১৭