বিস্ফারিত চোখের প্রবল দৃষ্টি আটকে গেছে তোমার
ঘন অন্ধকার কালো লম্বা চুলে,
আমি সেথায় হারিয়াছি পথ ভুলে।
ঢলঢলে দেহের মসৃণ পিঠ বেয়ে; নিতম্ব প্রদেশের সীমানা ছাড়িয়ে
যমুনার কালো স্রোতের মত নেমে গেছে তোমার চুল।
হিজল ফুলার লতার ন্যায় কিছু চুল নেমেছে কানের দুল অবধি।
মৃদু সমিরে তা বারবার তোমার বদন জুড়ে ---
হাস্যোজ্জ্বল অবুঝ শিশুর মত খেলা করে যায়।
হয়তো অমরণ সেথায় পরম স্নেহ থাকার অভিপ্রায়।
তবুও তুমি বারবার আঙ্গুল চালিয়ে নিরভিমান চুল গুচ্ছকে
অপরাজিত যুদ্ধার মত কর্ণ-দুলের আড়ালে ঠেলে দাও।
বিজনে আবার তুমি তোমরা স্নিগ্ধ চুলে হাত বুলিয়ে নাও।
উপন্যাসে নিমগ্ন তুমি; গ্রীবা উন্মুক্ত করে -------
গাঢ় আঁধার চুল এক-পাশে ঝুলিয়ে।
যেন ঝুলে আছে কোন এক গহন অন্ধকার পৃথিবী।
তোমার স্নিগ্ধ চুলের মৃদু ঘ্রাণ; আমার ঘ্রাণেদ্রিয়কে
নাড়া দিয়ে-- ছড়িয়ে পড়ে দিগন্তবব্যাপী।
কখনো খোঁপায় বকুলের অর্ঘ্য জড়িয়ে নবারুণ আলোয়
ঊষা-পাখির মত নিজেকে ভাসিয়ে নাও।
আবার জ্যোৎস্নার আলোর ন্যায় ; নরম চুল তুমি ছড়িয়ে দাও।
স্বচ্ছ পুকুরের জলে ভেজা চুল তোমার হয়ে আছে
বৃষ্টিস্নাতো কালো নিকুঞ্জ ন্যায় অথবা পাহাড়ি লাতা।
তারা উন্মুক্ত পিঠে মুক্তা দানার ন্যায় জলকণার সাথে
মিশে লেপ্টে আছে পরম আবেশে।
শুধু আপন করে নেয়ার প্রয়াসে।