প্রতিটা মানুষের ভিতর নিষ্ক্রিয় পিশাচের বসবাস রয়েছে।
যখন জেগে উঠে সে; চিনের মজবুত গ্রেট ওয়ালের মত
হাজারও বাঁধ ভেঙ্গে ঝাপিয়ে পড়ে কাঙ্খিত দুহিতার উপর।
আর দুহিতা নিজেকে অবারিত করতে চায় পিশাচের কবল হতে,
কিন্তু যখন তার অধর দুহিতার গলা স্পর্শ করে,
তারপর নিচে নেমে বুক, একটু নিচে স্তন তারপর
আরো নিম্নগামী হয়ে স্পর্শ করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গিরিখাত--
যেখানে একবার পতিত হলে উঠে আসার পথ হারিয়ে যায়,
যুগের শত শত সিংহ পুরুষ আর বীর হারিয়েছেন তায়।
সেই মোহ আচ্ছাদন গভীর মসৃণ নাভি।
তারপর দুহিতার ঘন নিঃশ্বাস আর নিস্তব্ধতা,
আর ছটফট করেনা পিশাচ থেকে নিজেকে অবারিত করতে।
অকপটে নিজেকে সপে দেয় পিশাচের হিংস্র যৌবনের কাছে,
ধিরে-ধিরে দুহিতাও পিশাচকে মদদ দেয় আদিম সুখ গড়তে।
গহন পথে অধর আরও নিম্নগামী হচ্ছে ধিরে ধিরে,
যেমন করে কচ্ছপ মৌসুমি পুকুরের কাদামাটি পাড়ি দেয়।
নিঃশ্বাস ঘন থেকে আরও ঘন হচ্ছে দুহিতার,
যেন বিষাক্ত কোন অক্সিজেন তার দেহে প্রবেশ করছে।
যখন অধর গিয়ে নিঃশব্দে স্পর্শ করে দুহিতার সংবেদনশীল স্থান,
যার জন্য মানব সৃষ্টি আর সৃষ্টি মানব হয়েছে সব করে মহান,
যার জন্য মনোৎসব আর অভিপ্রায় মানবের ক্রমেই বাড়ে,
যার জন্য কিশোর আর যুবকদের যৌবন উপচে পড়ে।
সে স্থান জুড়েই রাজত্ব করছে পিশাচের অধর,
আর ঘন নিঃশ্বাসে দুহিতা মৃদু সীৎকারে কাতর।
সে সীৎকার ধ্বনি না তুমি শুনবে,না আমি শুনবো,
না এই পৃথিবীবাসি শুনবে।
দুহিতার সে রাজ্য জুড়ে যে রাজত্ব করছে একা;
শুধু সেই ভাগ্যবানই শুনবে।
এ ধ্বনির কাছে পরাজিত. পৃথিবীর বুকে শতশত রাজ্য,
এ ধ্বনির নিকট বিলীন হয়ে গেছে কতনা রাজত্ব।
আবার পিশাচ উর্ধগামি হয়ে অধরে চেপে ধরেছে
দুহিতার কোমল লালাভ পাতলা অধর।
অবাধ্য হাত চলে গেছে তার সুডৌল নিভাঁজ নিতম্বের কাছে,
তারপর ধিরেধিরে শিরদাঁড়া বেয়ে
নগ্ন পিঠ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে হাত এখন চুলের আলিগলি ঘুরে বেড়ায়।
ঈষৎ বাতাসে জানালর কপাট সরে গিয়ে ;
সেথায় প্রবেশ করেছে রূপসী জ্যোৎস্নার আলো।
এ আলোয় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে ,
দুটি নগ্ন দেহের আদিম খেলার নিমগ্নতা।
যৌবনের ভীষণ জোয়ারে তারা তাদের দেহ ভাসিয়েছে।
জোয়ারের প্রস্রবণ করে যাচ্ছে নারীত্বের প্রতিটি নিখুঁত ভাজে,
আর পিশাচ গভীর ব্যস্ত তার আদিম অন্ধ বিশ্বাসী কাজে।
আমি কখনই বলবনা।
বলবনা নেই আমার মধ্যে পিশাচের সমাগম,
সে ছিল ------ আছে আর থাকবে,
তবে আছে সে; নিগূঢ় ঘুমে নিমগ্ন এখন।
জেগে উঠার মত কোন পৈশাচিক সময় হয়নি আগত।
যেভাবে উন্নত বিশ্বে লাল সিগন্যালে আটকে যায়
শতশত হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিনের চাকা গুলো।
থেমে যায় শতশত টনের উচ্চ গতির গাড়ি,
আবার সবুজ সিগন্যাল পেয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছুটে চলে,
ছুটে চলে নির্মল বাতাসে উড়িয়ে ধুলো।
সেভাবে আমিও স্রষ্টার দেয়া সিমা রেখা পার করছিনা।
যেখানে চাঁদ-সুর্য তার নিয়ম মেনে চলছে!
সেখানে ক্ষুদ্র আমি স্রষ্টার সীমালংঘন করি কি করে?
হয়তো মন এখনো বৈধ প্রতীক্ষার কথা বলছে।
সেই প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হওয়ার প্রতীক্ষায়,
আমি পৈশাচিক রূপে নই, বৈধতার প্রতীক্ষায়।
যে নিমগ্ন গভীর ঘুমে, তাকে ঘুমাতে দাও।
এখনো জাগিয়ে তোলবার হয়নি সময়,
সে ঘুমাক ; আরো ঘুমাক।
যার প্রতীক্ষায় পিশাচ গহীন ঘোর ঘুমিয়ে,
সে-ই তা জাগিয়ে তুলুক অথবা তুলবে।