আমি বর্ণাঢ্য জীবনের রক্ত শীতল সত্য অভিযাত্রী।
আমি সমুখের আলোকবর্তিকা ;ভেদে ছুটি আধার রাত্রি।
আমি নজরুলের আগুন ঝড়া কালজয়ী বিদ্রোহী কবিতা।
আমি জয়নুলের দূর্ভিক্ষের জল তুলিতে আঁকা সেই ছবিটা।
আমি ভুলিনি আমার গৌরবে গাঁথা উজ্জ্বল সোনালী ইতিহাস।
আমি ভয়কে করেছি চির জয় আর মিথ্যাকে করেছি বিনাশ।
আমি গান গাহি সাম্যের তাই এক করি হিন্দু-মুসলিম বৌদ্ধ-খ্রিস্টান।
আমি গড়ার জন্য ভাঙ্গি তাই ঘুনেধরা সমাজ ভেঙ্গে করি খানখান।
আমি নই কভু কারও গোলাম, কেউ নয় ক্রিতদাস আমার।
আমি স্রষ্টার নিকট শির নোয়াই;চাই ধরায় শান্তি সবার।
আমি শৃঙ্খল জীবন ভেঙ্গে গড়ি চির-মুক্ত জীবনের নতুন ছন্দ।
আমি লড়ে যাই আমরণ মিথ্যার সাথে, করি মন্দের মুখ বন্ধ।
আমি মানিনা মানব রচিত কোন আইন; হেতু খোদার কালাম হৃদয়ে।
আমি বাজের ন্যায় থাবা হানি বাতিল দুর্গে ; ভাঙ্গিনা কোন প্রণয়ে।
আমি সত্যের সমুখে কোমল হৃদয় আর মিথ্যার জন্য চির হিংস্র।
আমি রক্ত-স্রোত নদীতে ভাসমান তরী,আমি ঝড়ের কবলে ভাঙ্গার মন্ত্র।
আমি আসিনি কবি হতে ধরার বুকে দিয়ে কোন প্রতিশ্রুতি।
আমি আসাড়ে কাব্য লিখে যাই হয়ে দূর নিষ্প্রভ জ্যোতি।
আমি উন্মাদ সাগরের উত্তাল তরঙ্গ ; ঝাপটে কেড়ে নেই সব।
আমি বিজলী বেগে আঘাত হেনে করি নিস্তব্ধ উচ্চ কলরব।
আমি সুখের বীণা বাজিয়ে আনি দুখের নিশাপতির চির অবসান।
আমি আনি সমরে কথিত হালের কবল ছুঁয়ে কান্নার অশ্রুবান।
আমি শ্বেত অশ্বারোহী ;ছুটি বিজয় পানে ক্লান্তি দূরে ঠেলে।
আমি গড়বো সেই সোনালী সমাজ হাজারো প্রানের খুন ঢেলে।
আমি আকাশের নীল বেদনা ;ঝড়ি কৃষ্ণ তোয়াদ হয়ে জমিনে।
আমি মন্দের তরে চির ঝঞ্ঝাট, আবদ্ধ করি বিষাক্ত সমিরে।
আমি পদাঘাতে ভাঙ্গবো জালিমের মসনদ তুলে ভয়াল সিংহ গর্জন।
আমি হব মজলুমের চির চাওয়া আকুতি, বিজয়ের শান্তি বর্ষণ।
আমি অভয়-অমর-অক্ষয় ;আমি মন্দের কবলে আক্ষেপের বার্তা।
আমি আলীর শমশের ছুটি কু ভেদিয়া ;মারিয়ে সহস্র কর্তা।
আমি কড়া নেড়ে যাই সভ্যতার সংকির্ণ দ্বারে যত সংশয় ঝেড়ে।
আমি মেঘাচ্ছন্ন রাত কেটে আনি সোনালী সূর্য রণ হাতে কেড়ে।