শারদীয় মা স্বাগতম তোমায়,
          স্বাগতম গভীর সম্ভাষনে।
হৃদয় তটিনী, প্রানের চঞ্চলতা, রক্তের শিহরন
       জানিয়ে দিয়েছে মোনে
             তোমার আগমনী বার্তা।
  অভিমান ভুলে মোদের,
              আবার আসিবে ধরায়
    স্বাগতম মা; স্বাগতম তোমায়।


অন্জলী দেবো মা গো তোমা পদ তলে
       রেখো মা সারা জনম, তোমা ছায়া তলে
তুমি আসবে বলে মা গো
    হরষে কাশ ফুল শুভ্রতায় দোলে
তুমি আসবে বলে মা; মোর প্রেয়সী,
সীথি তার সিঁদুরে পূর্ন করে তোলে

     ঢাকের কাঠি, ধূপের ধোয়া
আঁখি মোর ধোয়াসাতে; সেই সাথে ধূপের গন্ধ
    মনের ব্যাথা মাথায় আনে।
তোমায় দেখলে মা গো যেনো
      আবেগে মন ভোরে ওঠে
সকল ব্যাথা যায় চলে মা
        দেখলে হাসি তোমার ঠোঁটে
কি অপরূপ মা তুমি গো
     মুগ্ধ তোমার শত রূপে
তুমি সকল নারীর আদর্শ
      সবার মনের অনুভূতি তে


আমরা তোমার অবাধ্য সন্তান
    এলে তবু ফিরে মোদের কাছে
ক্ষমা করে দিও মা গো
     দোষ যত মোদের আছে
বিশ্ব ভুলক হার মানে মা
       এত দয়া তোমার প্রানে
গেলে কাছে তোমার মা গো
      চায় না মোন যেতে দিতে,
ভাবলে মরে কান্নায় বুক
        চলে যাবে দশমিতে।


        একটি বার'ই বছরেতে
     আসো তুমি মোদের কাছে
মন খুলে সব চাই আমরা
      মনে যত ইচ্ছে আছে।
চাইতে বড় ইচ্ছে করে,
        একটা বার এই আঁচল পেতে
চাইতে কভু পারি না মা
    "যদি তুমি থেকে যেতে"
সেই চাওয়া টা চাইতে গো মা
      সাহস মোদের হয় না প্রানে।
তুমি লক্ষী, সর্ব জয়ী,
         পূর্ন প্রানের জোয়ার আনে।


আসবে তো মা পরের বছর
    সারা বছর ভালই কাটে
দাও ধুয়ে সব পাপের ছায়া
     সম্মার্জনার অগ্নি স্নানে।
মা গো তোমার আগমনে,
     হৃদয় নাচে ধনুচী তে
    ধরীত্রি রূপের পর্দা খোলে
        তিমির অভ্রে আঁখি মেলে


প্রতি বছর এমন করেই উল্লাস
     তোমার আগমনে, রেখো মা মোদের তুমি
আশীর্বাদে পূর্ন করে,
হয় গো যখন যাবার সময়,
     দশমির ওই চন্দ্র দোলে
চোখের জলে দেই গো বিদায়।
       বলি সবে; আসছে বছর আবার হবে।