কৃষি ভার্সিটির সবুজ মাঠের
       পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া,
  এর চেয়ে ভাল কিছু হয় না।
দু ধারে সারি সারি গাছ
       মাঝে দিয়ে সু-দীর্ঘ রাস্তা,
এর চেয়ে মনোরম কিছু হয় না.
কখনো ফুলের বাগান, কখনো ছোট পুকুর
       কখনো বা বিশাল মাঠ;
থেকে থেকে দূরে বড় বড় বৃক্ষে
থোকা থোকা লাল ফুল, ডালিয়া, কৃষ্ণচূড়া;
      বিকেলের হাল্কা মিস্টি রোদ,  
      হালকা উষ্ণতা, হালকা ছায়া
কখনো আবেগে ভাসানো, পাতা ওরানো
       এক রাশ শীতল বাতাস;
কি সেই মনোরম পরিবেশ আহা!
       এর চেয়ে মিষ্টি কিছু হয় না।


যেতে যেতে পথের দু ধারে
      লাল ইটে গাঁথা ভবন গুলো
      জরিয়ে রেখেছে কত স্মৃতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙিন আঙিনা গুলো,
      সেই ভালবাসার ক্যাম্পাস
মনে করিয়ে দেয় কিছু সুন্দর মুখ,
কিছু ভালবাসার মানুষের কথা,
     কিছু বন্ধুত্বের কথা,
কালের কঠিন স্তুপে চাপা পরে যাওয়া
      কিছু সত্য গল্প, কিছু সুখ বেদনার স্মৃতি।
আজো বহুকাল ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে
     সেই স্মৃতিস্তম্ভ গুলো - আবেগে সম্মানে
        জাগ্রত করে দেশ প্রেম,
   ক্ষনিক আপ্লুত করে শহীদদের স্মরন।
       কিছু দূর যেতেই
       হাতের বায়ে বোটানিকেল গার্ডেন,
   এ শুধু নয় সজ্জিত বাগান,
এ যেন উদ্ভিদ ও বৃক্ষের এক সুবিশাল জাদুঘর
পাশ দিয়ে ব্রহ্মপূত্রের বয়ে যাওয়া জলধারা
    প্রকৃতিকে করেছে আরোও স্নীগ্ধ নির্মল।


     হঠাৎ প্রিয়জন নিয়ে হারিয়ে যাওয়ার
        এক রঙিন ঠিকানা।
     মিষ্টি রদ্দুর ভরা বিকেল
    এক রাশ মেঘ করা নীল আকাশের নিচে
     খোলা মাঠে বসে থাকা,
     সে এক অনবদ্য অনুভূতি।
     হাজারো শাড়ীর আচলে,
রোপিত হয়েছে ভালবাসা প্রেম বহু যুগ ধরে।
       অমর হয়েছে কিছু,
কিছু ঝরে গেছে ঝরা পাতা, ঝরা ফুল হয়ে।
       কিছু গল্প হয়েছে পরিনত
     আবার কিছু গল্প থেকে গেছে
        নাম না যানা ফুলের মত,
ঢেকে গেছে মেঘের আড়ালে
        হারিয়েছে অন্ধকারে;
   তার-ই স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছে অনেকেই
কেও একান্ত হাসে মুচকি, কারো অশ্র জলে
      এভাবেই স্মরনে রয়ে যাবে চিরকাল
      আমাদের প্রান প্রিয়
      কৃষি ভার্সিটি, স্মৃতির খেয়ালে।
      
                  
                                   ২১ এপ্রিল ২০২০
                                   দুপুর ১:২০ মি
                                   জোয়ার শাহারা, ঢাকা