এই বারান্দা আমার বিকেলের
ঠিকানা ।
সুন্দর করে চুল বেঁধে, যত্ন করে
হুইলচেয়ারে এনে বসিয়ে দিয়ে
যায় রোজ।
অপেক্ষায় থাকি এই বিকেলের।
আনন্দে মেতে থাকি।
অপলক চেয়ে থাকি সামনের পার্কে।
কত ছোট ছোট ছেলে মেয়ে হৈ হৈ
করে, যেন নানা রং এর ফুল।
কেউ আসে মা এর হাত ধরে
গুটি গুটি পায়ে।
বড়রা ভীষণ জোরে দোল খায়  
দোলনায়।
তোর বাবা যখন এভাবে তোকে
দোল দিত, কেঁপে উঠতো
আমার বুক।
একটা পাখি অনেক উঁচু দিয়ে
উড়ে গেল। হয়তো তার বাসায়।
যেখানে আছে তার ছানারা।
আমার যদি ডানা থাকত....
উড়ে যেতাম তোর কাছে।


এখনও একটা বছর....
দিন আর শেষ হয় না যেন!
সামনের গাছে আজ শালিক নেই।
কোথা থেকে দুটো শকুন এসে হাজির।
একটু পরেই রাত হয়ে যাবে।
চার দেওয়ালের ঘেরাটোপ অসহ্য
লাগে তখন।
দুটো টিকটিকি আর টিক টিক করা
ঘড়িটা আমায় সঙ্গ দেয়।
তবু আমার ঘুম আসে না।


হয়তো বৃদ্ধাশ্রমে ভালোই আছি।
আর মাত্র একটা বছর....
তুই আমাকে দেখতে আসবি।
বড় ভয় করে...
হে ঈশ্বর,
আমায় বাঁচিয়ে রাখবে তো??