অনিমেষদা, ভারী বুটের শব্দ এখনও আমার কানে বাজে।
হৃৎপিন্ডের দ্রুত ওঠানামার শব্দে ঘুম আসে না রাত্রে।
কেউ বলে হৃদয় বিশারদের কাছে যাও, কেউ বলে মানসিক হাসপাতালে।
তোমার জন্য বন্ধু,
শুধু তোমার জন্য।
চোখ বুজলে অনুভব করি মহাকাশের শূন্যতা।
তুমি বলেছিলে আমাকে পালাতে
আজও পালিয়ে বেরোচ্ছি আমি।
হয়ত নিজের কাছেও।
পালাতে পালাতে আবার আমি ভারী দুটো কালো বুটের মুখোমুখি।
আত্মসমর্পিত আমি, জীবন যুদ্ধের সমস্ত রসদ ছিনিয়ে নিলাম ছলনায়
অনিমেষদা তুমি কোথায়?
পৃথিবীর অন্য প্রান্তে? অথবা অন্য কোনোও গ্রহে?
মিছিলের অগ্রভাগে তোমার প্রতিবাদী
মুষ্ঠিবদ্ধ হাত হয়ত বাঁচার বীজমন্ত্রে ঠকাচ্ছে আমারই মতন কোনো আহাম্মককে।
তুমি বলেছিলে লোকে আমায় বলবে কাপুরুষ, ভবিষ্যত প্রজন্ম আমায় ঘৃণা করবে।
বন্ধু সুখের চাদরের তলায় আমার শবদেহ।
আমাকে কেউ কাপুরুষ বলেনি, কেউ ঘৃণাও করে নি।
বরং শ্রদ্ধা আর ভালবাসার সাদা মালায় আমি বিজিত।
পার্থিব সুখের আধুনিকতায় ঠাসা
ঘরটায় দমবন্ধ হচ্ছিল আমার।
কেন পালাতে বলেছিলে. অনিমেষদা?
কেন? কেন?
ভারী বুটের শব্দটা শুনতে পাচ্ছিনা আর।