দু’হাতে নিঙড়িয়ে সবটুকু রস,
নিঃসার পৃথিবীর বুকে এঁকে জয়টীকা
বিকৃত গৃধ্নু উল্লাসে গা ভাসিয়ে আর
গেলাস গেলাস মদ পানে , লুব্ধ মৈথুনে ;
যতোই হোক-  নাগরিক সমাজ গর্ভবতী ।
       এ সব আমার চোখে –
       পৃথিবীর তিলতিল মরণের অবভাস ।
হৃদয় ছেঁড়া ছালের গন্ধ নিয়ে ; দিনরাত
ডুবে আছে নিকষ অন্ধকারে- আমার শরীর-মন-প্রণয় ।


তীব্র কামুক রাত, অগাধ আহ্লাদে
উদ্ধত শিশ্নের আবেগে পূঁজ হয়ে ঝরে বোধ; যে বোধ
প্রেমিকার দেহ ভরে দেয় গভীর ক্ষতচিহ্নে ।
-তার কটূ গন্ধে ভরে আছে,
পদ্ম পাতায় মোড়া টলটলে বসুধার বাতাস ।
আর বেঁচে আছি চরম রুদ্ধশ্বাসে !
ডুবে আছে নিকষ অন্ধকারে- আমার শরীর-মন-প্রণয় ।


যারা,
আবাল্য জনম ভিখিরি, শিকারি শকুনের মতো
অমৃত ভাঁড়ে চঞ্চু ডুবিয়ে সহস্র শতাব্দী কাল ; তাই
তাদের লোলজিহ্বা দশ হাত হয়েছে
এক দ্রৌপদীর নরম গন্ধর্ব মাংস চেখে চেখে ।
            এমন অন্ধকারে মিশে যেতে যেতে
            তবুও বেঁচে আছি  ; এই ভেবে
            হয়তো আবার শুদ্ধ আলোয় ফুটবে কুঁড়ি
                এ নষ্ট নীড়ে ! এ নষ্ট কবির হৃদয়ে !