চোখে চশমা গায়ে লাল জামা
সে কি বিষাদে ! এসে কয় মামা -
“ বুঝলি তানিয়া  এবার হোক বিয়েটা
ঘেঁটে-ঘুঁটে দ্যাখ তুই ম্যাটরিমনিটা ।


সেই কবে মাঘে হেসেছিল রাই
হৃদয় দিয়েছে ভেবেছিনু তাই
রাত জেগে মন ভরে আহ্লাদে লিখেছিনু ফিরিস্তি
অন্যহাতে সঁপে ছিল বজ্জাত মইদুল মিসতিরি ।


পাশের বাড়ির  ও বসুমতির ভাই
পথে ঘাটে দ্যাখা হলে খালি ধমকায় !
বছর দশেক চোখে নাই ঘুম-
বুঝেছি ,খেলেছে তবে মোর সাথে বেমালুম ;


তাড়াতাড়ি কর দেখি ডেটিং ফিক্স
বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে হাঁকাবো সিক্স !


বলে দেবো তার ঐ গুন্ডা ভায়েরে –
যেন সে পাঙ্গা না নেয় আগ বাড়িয়ে ।
ক্যারাটের কত মারপ্যাঁচে ফাঁদে ফেলে
একেবারে সব নক্সা দেবো  বদলে ।”


হেসে কই মামারে –“ তার মেজদা  থাকে বনগাঁ ,
লোকে বলে বদরাগী সে মস্ত বড়ো দারোগা ।”
শুনে মামা চুপচাপ মুখ করে ফ্যাকাশে
অবশেষে শুয়ে গেল মুখ গুঁজে বালিশে !


তারপর খোলেনি সে ম্যাটরিমনিটা
থেমে আছে আজও যে –মামার বিয়েটা ।