মাসের বেতনটা হাতে পেলে
ভীষণ কুকড়ে উঠে বুক;
হিসাবের খাতা মিলাতে মিলাতে
অন্তরাত্মা করে ধুকপুক।
বেতনটা পাওয়ার আগেই
কানে ঢুকে লম্বা লম্বা বয়ান–
গেল মাসে আনতে পারোনি যা;
এই মাসে চাই সব সামান।
জায়গায় বসে পড়ি; মাথায় হাত!
দীর্ঘশ্বাস বড় হয়; বুকে পড়ে টান;
গেল মাসেও হয়েছে বেশকিছু ধার
চোখে ভাসে তার উজ্জ্বল খতিয়ান।
আছে ছেলে-মেয়ের বায়না
ওরা কি আর ঘাটতি বুঝে?
বছরজুড়ে পাই একই বেতন
পণ্যের দাম বাড়ে সকাল সাঁঝে।
আমার মতো আরো অনেকে
চোখে দিবালোকেও অমানিশা;
কোন পথে গেলে মিলবে সমাধান
কেউ খুঁজে পায় না কোন দিশা।
কত লোকে ফের বেশতো চলে;
করে হাসি-ঠাট্টা; রঙ্গ-তামাশা;
বেগুনের বদলে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে
বেগুনি চপ বানানোর দেয় দিশা।
তিলকে তাল করার এত রসদ!
ওরা রোজ রোজ কোথায় পায়?
হাজার জনের দুর্দশার কথা কেন
ওদের মগজকে কুরে কুরে না খায়?
ওরে মানুষ এইসব ছাগ্লামি ছেড়ে
বেতন আর বাজারের সমাচার নিয়ে;
পেশ করো রাজার উচ্চ দরবারে
পারলে দাওগো রাজার ঘুম ভাঙ্গিয়ে।।
_________________________
০৬/০৪/২০২২🖋️