১.
এক সার্থক কবিতা লিখার বড় অভিলাষ নিয়ে
কাগজের বুকে কলম ধরলাম সাহস করেই–
পূর্বে যা লিখেছিলাম দু চারখানা, অ-কবিতা,
মাথা-মুণ্ডু, ঘাড়গর্দান, বুক-পিঠ কিছুই খুঁজে
পায়নি আধুনিক পাঠক আবার কারো হৃদয়
তিক্ত রসে সিক্ত, নুন নুন আর স্যাঁতস্যাঁতে–
সেসব কবিতা না হলেও যে 'সত্য'তে ভরপুর।


২.
চরম এক কবিতা লিখবো বলে; আকাশে
দিলাম উড়াল- ষড়রূপী মেঘেদের বাড়ি বাড়ি
ঘুরে বেড়ালাম বিরামহীন, পাতাল পুরিতে মন
ডুবুরি ডুবিয়ে, গহীন অরণ্যের নির্জনতা ভেঙ্গে,
মরুভূমির বুক চিরে, ইটপাটকেলে ঝংকৃত
শহরের টুটি চেপে ধরে ভাসমান, স্বর্বস্বান্ত,
                    ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা মানুষের
হৃদয় রাজ্য থেকে আবার রাজপ্রাসাদের
অথৈ সুখের বাদ্য হতে বহু কষ্টে সাদা-কালো
                      লাল-নীল-সময়ের  হাত ধরে
সঞ্চিত আনন্দ-বেদনার অপ্রিয় সত্য শব্দগুলো
সাজাতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম, চমকে উঠলাম!


৩.
প্রত্যেক শব্দ করুণ আর্তিতে করজোড়ে নতজানু
বলে, 'তুমি তো কবি নও, শত সহস্র জগদ্বিখ্যাত
কবির লিখনিতে আমরা ছিলাম উজ্জল
                               নক্ষত্রের মতো; অথচ
কবিতার প্রতি পাঠকদের অনিহা দেখে লজ্জায়
মরেছি তার চেয়ে বহুবার, দোহাই ছেড়ে দাও।'


৪.
কলমটা রেখে দিবো ভাবছি– ঠিক এই সময়
কেউ যেনো মনে মনে, কানে-মুখে বলে গেলো–
'এটাও তো লিখলে কবিতা, তোমার কাজ তুমি
করে যাও; কেউ অন্ধের মতো চলতে থাকলে
পথ দেখাতে কেউ কোনদিনও পারবে না।'


                        কলমটা আর ছাড়লাম না।
------------------------------------------
০৫/১০/২০১৮🖋️