একটা ফটো! তখন তার অনেক কষ্ট ছিল–
বেকারত্বের জ্বালা নেভাতে, অভাবী সংসারে
হাসি ফোটাতে, সামাজিক জীব হিসেবে
                              নিজেকে দাড় করাতে,
ফটোটা ছুটতো আলোর চেয়ে বেশি গতিতে–
সরকারী, বে-সরকারী অফিসে অফিসে,
ছুটতো কল-কারখানায় রাতদিন সমানে সমান!
ভালো করে নজর লাগাও– দেখো; ফটোটাতে,
দেখতে পাচ্ছো কী–ওর চোখ দুটো জুড়ে
কত হতাশা! নিরাশার ছাপ, কত ব্যথা!
গোপনে কত লোনা জল ঝরায়ে কত মরুভূমি
ধুয়ে গেলো– আর তুমি বলছো "মায়াবী"!


ফটোটা কত উচ্চপদস্থ মানুষের পদতলে  
গিয়েছিলো পিষে! কত পিয়ন হাতের মুঠোও
দুমড়ে মুচড়ে ছুড়ে ফেলেছিলো বারন্দার কোণে
                            থাকা ডিব্বাটার ভেতর–
যার গায়ে লিখা থাকে 'আমাকে ব্যবহার করুন',
সেখানে মানুষের থুথুও পড়ে– লাল নীল সাদা।


ফটোটার মালিক যখন পেতো কোন সুখবর!
চাকরীটা পেতে গিয়ে হিসেব মেলায়,
বাড়ি-ভিটা, ঘটি-বাটি কিছুই থাকে না,
নিরাশ হয়ে ফিরতো আকাশ ভরা ব্যথা নিয়ে,
তবে ক্লান্ততা কখনো ছুঁইতে পারেনি তাকে।


ফটোটা আজ আর ছুটে না, যেন নিখোঁজ!
             তার মুক্তি মিলেছে বহুদিন আগে।
থেমে নেই জীবন; জীবনের চাকা ঘুরছেই–
হাত-পা, মাথা, চক্ষুদ্বয় সচল থাকতে
জীবনের পরাজয় মানা যায় না।


পড়ে থাকুক সব সনদ মাচায় রাখা ট্রাঙ্কে।
_________________________
০১/১২/২০১৭🖋️