কুয়াশায় মোড়া গ্রাম, আঁকা-বাঁকা মেঠো পথ,
ব্যস্ত শহরের দোকান-পাটও বাদ পড়েনি,
এগারো বছর আগে; এমনই এক রাতে
লাল শাড়ির আঁচলে ঢাকা লোনা জলে প্লাবিত
কাজলী দুটি চোখ– বর-যাত্রি এসেছে প্রায়
                            শত ক্রোশ দূর হতে।


অনেক চেনা মমতা আর পাবে না সে,
অচেনা মমতায় জড়াতে হবে–
লুকোচুরি, গোল্লাছুট অথবা কানামাছি,
দৌড় ঝাপ-বোউ চি খেলার প্রিয় সাথিদের
                          আর পাওয়া যাবে না,
এসব ভেবেই তো কাঁদছে! না, নাহ্, না'গো;
তার চোখের জলে যে কবিতা!
সে কবিতায় অন্য কারো নাম লিখা।


ভালোবাসার প্রিয় মানুষ; হতভাগা!
হতভাগাটাও বুঝলো না মেয়েটার হৃদয়াকুতি–
তাকে না পাওয়ার ব্যথা; ভালোবাসার মূল্যটাও,
                     দিলো না তার আদরের দাম,
স্বপ্নের ঘর বাঁধার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো।


কার হাতে হাত রেখে পাড়ি দেবে সে জীবনায়ু!
যে আর কিছুই বুঝতো না তাকে ছাড়া।
সেই হতভাগাটা কি সুখি হবো কোনো কালে?


সেদিনের এই হতভাগা ছেলেটা, পকেট শূন্য
বেকার এক যুবক; মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো
ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নিয়ে; কুয়াশা আর
শিশিরের সাথে নিরবে-গোপনে কেঁদে কেঁদে
ফিরে এসেছিলো আপন ঘরে–    
                 হৃদয়টা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়েছিলো।
তবুও ফিরে এসেছিলো, আসতে বাধ্য হয়ে।


সেই ফিরে আসার এগারো বছর হয়ে গেছে!
তবু আজও ফিরতে পারে নি যে সে,
সে যে আজও তার চুলের গন্ধ, হাতের ছোঁয়া,
চলার ছন্দ প্রতি দমে অনুভব করে,
কাজলী চোখের চাহনি' বারবার খুঁজে মরে,
মনটা একটু ভারী হলেই তার কথাই মনে পড়ে,
চোখে ভাসে– তার মায়াবিনী মুখখানি!


হতভাগা তাকে পারে নি ধরে রাখতে–
এ কথা যেমন সত্য; তার চেয়ে বেশি সত্য      
                 আজও তাকে পারে নি ভুলতে।
--------------------------------------------
২৭/১১/২০১৬🖋️