'আচ্ছা, তুই কবিতা লিখিস কেমন করে!'
                       –কিছুই বললাম না উত্তরে।
পাথরাজ কলেজ মাঠে সূর্যের আলো তখন,
সবুজ ঘাসের উপর করছে শিশির বিন্দুর দহন।


'তোর মতো চঞ্চল চড়ুই একটাও নেই, কলেজে
অস্থির থাকিস সর্বদা, সবার আগে, সব কাজে।
শুনেছি কবিরা হয় ধীর প্রকৃতির, আর তুই!
অস্থির হয়েও চাষ করিস কবিতার ভূঁই!
কাঁধে নেই ঝুলানো ব্যাগ, মুখ থাকে না গম্ভীর
কেমন করে সাজাস কবিতার শব্দ প্রাচীর?'


আড়চোখে দেখি আমি গাছের ডালে ডালে
পাখিসব নেচে বেড়ায় উষ্ণ শীতের তালে,
দু'চারটা প্রজাপতি নেচে নেচে করে খেলা
মুষ্টি মুষ্টি শীতল বায়ু সারা অঙ্গে দেয় দোলা।


বলি, 'আমাকে নিয়ে সখী, অত ভাবিস না তুই,
প্রকাশ্যে যেমন দেখিস- আমি ঠিক তেমন হই।
সাদা মেঘেও হঠাৎ বৃষ্টি নামে, জানিস তো সই?
সবার মাঝে; সবার মতো থাকি, কবি আমি নই,
সারাদিনে জড়ো করি কিছু শব্দ, মাথা হয় ভারি
গভীররাতে কাগজ'পরে শব্দগুলো ঢেলে নাড়ি।'


কবিতা হয় কি না জানি না, শুধু শব্দ নিয়ে খেলি
হৃদয়ে সারাক্ষণ চলে শব্দের সাতরঙা র‍্যালী।
--------------------------------------------
১৩/১০/২০১৮🖋️