গৃহশিক্ষক যেমন করে হাতে ধরে
অবুঝ শিশুকে অ আ শেখায়,
তেমনি করে তার কাছে
হাজার বায়না রেখে প্রেম শিখেছিলাম।
সে বিরক্ত হয় নি একটিবার, তার ত্বক
ছুঁয়ে ছুঁয়ে চিনেছি রক্তের বাইরে কোন নারীকে,
শুন্যে চুমু দিতে পারি না বলে--
অজস্রবার শিখিয়ে দিয়েছিলো হেসে হেসে,
অধর আর কপোলের মিলন মেলা, হৃদয়ের খেলা
কখন যে সর্ব শরীরী খেলায় মেতে উঠলো!
নদীর ধারে ধারে উষ্ণ বিকেলে না হাঁটলে
প্রেমের মজাই পেতো না, কুয়াশায় ঢাকা
সকালে খালি পায়ে হাতে হাত ধরে হেঁটে
নিয়ে যেতো দিগন্তরেখার শেষে, সে এক নারী-
যার কাছে সাঁতার শিখেছি- হাঁটু জলে, গলা জলে
প্রেমের উত্তাল সাগরে, কল্পনার ঘূর্ণি  মণিতে।।


ভেবেছিলাম, আমি ছাড়া তার কোন ভাবনাই নেই
সকাল-বিকাল, রাত-দুপুরে, রিমঝিম বরষায়
কিংবা লেপের তলে প্রবল শীতে, সব ঋতুতে।


আমার সবকিছু বদলে দিলো, শুধু পারলোনা;
বদলাতে আমার ভাগ্যলিপি, অভাব, দৈন্যদশা-
তাই; চলে গেলো আমি ছাড়া অন্যের সুখের ফেরিতে।
তার পথ আটকালাম, অশ্রু ফেললাম, মিনতি-
বললাম, " সত্যি সত্যি তোমাকে ভালো বেসেছি এবং
আজও বাসি, আমি যে বিরহের কবিতা লিখতে
পারবো না, তোমাকে চাই- আজন্মকাল।"


নাহ; তার মন গলাতে পারলাম না---
সেই থেকে আজও পথটার দিকে অপলক
চেয়ে আছি অজস্র যুগের পর অনেক যুগ।
হায়রে নারী, ভুল করেও আর আসলে না।
---------------------
২২/০১/২০১৮🖋️