এখন এমনই হয়;
হাসতে গিয়ে হঠাৎ ঠোঁট ফেটে যায়,
ফাটা ঠোঁটের রক্ত বৃদ্ধাঙ্গুলের ছোঁয়ায় মুছে–
মন হারায় আগমনী শীতের মাঝে।।


মনে পড়ে খেজুরের রস, ধোঁয়া উড়া ভাপা পিঠা,
শিশির ভেজা ঘাস মাড়িয়ে দিকবিদিকশুন্য ছুটা,
'শিশু মালতী'র কথা মনে পড়ে বেশি বেশি;
যার প্রলেপে মসৃণ হয় ফাটা ঠোঁট, শীতের হাসি।


খাদেমুল দাদু– পরিচিত মুখ; খাদেমুল ডাক্তার,
এলাকায় সবার প্রিয়, ঔষধের দোকান তাঁর,
মধ্যবাজারে তাঁর ঔষধের দোকানের সামনে
ক'টা মনিহারীর দোকান বসতো হাটের দিনে,
মাটিতে চটের বস্তা বিছিয়ে; সুই সুতো, দড়ি–
আরো পাওয়া যেতো আয়না-চিরুনী, ঘড়ি;
সেসব দোকানেই পাওয়া যেতো 'শিশু মালতী'
আধুলি সমান কৌটা, সুঘ্রাণ নিরবধি।


খাদেমুল ডাক্তার নেই আজ; বহুদিন ধরে–
                     আশ্রয় নিয়েছেন পরপারে,
দিনে দিনে কমেছে মনিহারীর দোকানগুলো;
দুয়েকটা যদিও আছে– মন এলোমেলো,
সবকিছু সস্তায় পাওয়া গেলেও আর
নেই 'শিশু মালতী' র কারবার।
শীত আসতেই থাকে, দেহ-যত্নে বদলেছে ধরণ;
কত পেট্রোলিয়াম জেলি'র দখলে সবার মন!
                      ওসবে মন টানে না আমার–
আদি প্রেম 'শিশু মালতী'র খোঁজ করি বারবার।


বিগত কয়েক বছর ধরে শীতের শুরু থেকে
'শিশু মালতী' খোঁজ করে ফিরি শূন্য হাতে।
------------------------------------------
৩০/১০/২০১৯🖋️