একটা সময় ছিলো; খুব কবিতা লিখতাম–
যদিও কোন কবিতাই কবিতার মধ্য পরে না,
তবুও লিখতাম– ভালো থেকেই লিখতাম।


কারো কারো 'অ-কবিতা' নামক কবিতাও
অসম্ভব সুন্দর; আমার লিখা সেসব লিখার
কিনারা দিয়েও যাবার যোগ্যতা রাখে না,
তবুও নিজের মতো করে লিখতাম, রাত জেগে
লিখতাম আর পাতা ছিড়ে ফেলতাম,
ভাবনাগুলো হোক শত এলোমেলো তবুও সাজাতাম,
পাতা ছিড়ে ফেলতাম আবার শত রাত জেগে লিখতাম;
লিখতাম বাস্তবতা, দারূণ যন্ত্রণা, রক্তচোষা
মানুষের মুখোচ্ছবি আঁকার চেষ্টা ছিলো কবিতার মাঝে।


আজও মন চায় ভাবনাদের কবিতায় সাজাবার,
সময়ের বড্ড অভাব; সকালে ক'টায় বিছানা ছাড়লে
অফিসের দেরী হবে না- এই ভেবে রাতে চোখ বুজি,
সাংসারিক চাহিদা, পরিবারের ঔষুধ, স্কুলের বইখাতা,
পোষাক আর নিত্যদিনের খরচার হিসেব মিলাতে
বেলা-অবেলা যায় কেটে; সময় কখন চুপিসারে
চলে যায় সময়ের বাইরে– একদম বেমালুম।


ভাবনাগুলো সেই সময়ের মতোই আজও
হেঁটে বেড়ায় মস্তিষ্কের বারান্দা ধরে;
জীবন ও জীবীকার লড়াইয়ে হেরে যাই-
                           কবিতা লিখা আর হয় না;
লিখা হলেও প্রকাশ হয় না; হলেও মূল্যায়ন পায় না।


তবুও শব্দগুলো সময়ের সাথে হারিয়েও হারায় না,
পড়ে থাকে হৃদ পটে অথবা বুক পকেটে,
সময়ের অভাব কিংবা বেলা-অবেলা না বুঝে;
সেই শব্দগুলো ঝড় তুলে যখন তখন......।
-------------------------------------------
২২/০২/২০১৮🖋️