বৃষ্টি তুমি ভিজাও আমায় আপন ধারায়
সকল বেলা ভিজি আমি তোমায় মিশে ,
লুকিয়ে এসে উষ্ণ বাতাস ছুঁয়ে থাকুক
আদুল গায়ে খেলবো একা জলেই ভেসে !
সারা আকাশ জুড়ে থাকো ঘন মেঘে
কোথাও যেন একটু আলো না আর আসে ,
ওই আঁধারে রাত্রি সুখের বাসর সাজাই
তোমার ধারায় শরীর আমার যাক না ভেসে ।
তোমার আসার শব্দে নাচে বন বনানী
ভিজলে মাটি সোঁদা উদাস গন্ধ ছড়ায় ,
নুপুরেরই ঝংকারে তে বাদলা মন
মেঘের গায়ে জলের ধারায় হৃদয় পুড়ায় ।
সকাল থেকে মন খেয়ালে ভিজব বসে
দূরে কোথাও নির্জনেতে গাছের পাতায় ,
কিংবা আরো খানিক দূরে মাঠের আলে
না হয় এসো গহীন বনের শেষের মাথায় ।
দুপুর বেলায় তোমার মেঘে সূর্য ঢাকো
সারা দুপুর ভিজে গায়ে ঘুরব মাঠে ,
তা না হলে দক্ষিণ পাড়ার ছোট্ট ডোবায়
নতুন জলে পা ভাসিয়ে বসবো ঘাটে ।
ভাবছো কেন বিকেল হলে বৈরী বাতাস
উষ্ণতাতে যদি আমায় উদাস করে ,
তবু আমি ভিজবো বসে সারা বিকাল
ভিজে গায়ে হারিয়ে যাব মেঘের ঘরে ।
সন্ধ্যা আঁধার আসবে নেমে আকাশ কোণে
তখন তোমার ভিজে চুলের গন্ধ নেব !
রাত আঁধারে দূরের কোন তেপান্তরে
বৃষ্টি মেঘে মন হারিয়ে ডুবটি দেব ।
............ 1 .6 . 2017 .....................


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।