তোমার তো সব কথা
ঘাম হয়ে মিশে থাকে গায় ,
আজও সেই আদরের চোখ দুটি
ফুটপাতে ফিরে ফিরে চায় !
টানা রিক্সার পথে ধুলা মাখি কিছু চোখে মুখে -
চাকায় পিসেছে সুখ , তবু থাকো আহ্লাদি চোখে ।
বিরামের সাধ পিছে ব্যস্ততা ঘাড় তুলে চায় ,
চলার মাঝেতে মায়া - দুই পায়ে রক্ত ছড়ায় !
আগুনের তাপ লাগে রোদ এলে পিচঢালা পথে -
তবুও আছিতো চেয়ে , কিছু দূরে মাছরাঙ্গা সাথে ।
সব রূপ ঢাকা পড়ে তোমারই অরূপের মাঝে !
সকাল দুপুর তায় -
রোদ মাখে ,জ্যোৎস্নার আলো পড়ে সাঁঝে ।
হয়তো ঠোঙ্গার মতো ভাঁজ হয়ে
আছো তুমি দূরে কোনো ঘরে ,
শিশুরা খেলছে তায় মেঝেতে বিছিয়ে চিত করে !
কিংবা স্বামীর সাথে আগুনের কাছাকাছি বসে
ছাপা কিছু অক্ষর ভালোবেসে মুখটিপে হাসে ।
৩০ / ৩ / ১৮ . ।


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী। ১৩ আগষ্ট, ২০১৮ তারিখে  সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি দুর্গাপুর (পশ্চিমবঙ্গ) গৌরিদেবী হাসপাতালে ভর্তি হন। সকলের প্রার্থনাকে মিথ্যে প্রমাণিত করে তিনি ২ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে না ফেরার দেশে চলে যান।


তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)।


বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।