জোনাকির মৃদু আলো রাত্রির আঁধার
পূর্ণিমার চাঁদ ছেয়ে নিশ্চুপ গগনে,
তারার কোমল আলো রূপীয়সী পথে
তখন আসিব আমি রজত কাননে।
বিছাইয়া রেখো তুমি শিউলির ফুল
নিদ্রিত ভ্রমর যেন না জাগে সে রাতে,
দূরের আকাশ পরে সুখ তারাটিও
চুপি সারে ফিরে যেন ফাঁকা মাঠ পথে।
ঘুমহীন লক্ষ্মীপেঁচা থাকুক আড়ালে
শেষ রাতে ক্লান্ত ক্ষীণ জোনাকির আলো,
ম্লান চন্দ্র মৃদু হেসে আকাশে লুকাবে
রজনী ডাকিবে পিছে প্রহর ফুরালো!
ধীরে ধীরে অধরেতে আমার পরশ
উন্মুক্ত আল্পনা আঁকি ভরাব শরীরে,
উপ-বনে সব সুখ রচিব নিভৃতে
অলস রাত্রির আভা মুছে যাবে ভোরে!
উন্মুক্ত বক্ষ খানি আমার বক্ষেতে
খেলিবে নিতম্ব তোমা গগনের পানে,
দ্যুলোক ভূলোক ভুলে দিশাহারা দুই
পুষ্প সুশোভিত ভোর কামিনী নয়নে!
নিশ্চিন্তে মুদিব আঁখি কুট্টনী আলস্যে
দিবা সূর্য আলো গায় ডাকিবে প্রভাতে,
আবার নতুন করে সিঁথিতে সিঁদুর
এঁকে দেব চুপি চুপি উন্মুক্ত ভালেতে।
দেখেনিও তুমি মোর বিবস্ত্র শরীর
সিঁদুরের চিহ্ন সব মুছিও আঁচলে,
দিবালোকে সুখাবেশে কাটাইব ক্ষণ
রাতের তারার সাথে রব পথ ভুলে।