ইচ্ছে ডানায় ভেসে চলি দিনরাত
মন খেয়ালেই ঘুরিফিরি ভিন দেশে,
সবুজ ভূমির শান্ত চরণ চুমি
দিগদিগন্তে উড়ি মেঘ গায়ে ভেসে।
সরু পথে আছে ঘাসের মেঠো আল
নদী নালা মিশে সাগরের জল ছুঁয়ে,
দেখো দিকে দিকে আমার সকল চিহ্ন
নিষ্পাপ চোখে দূরে আছি পথ চেয়ে!
যে কোনো গ্রামের শান্ত ছায়ায় এসো
রাখালিয়া বাঁশি ভরাবে হৃদয়খানি,
কিংবা কোথাও শাল পিয়ালের বনে
ঝিঁঝিঁ পোকা সুরে আমার পদধ্বনি।
শরৎ সকালে শিউলির ঝরা ফুলে
ভিজা ঘাস ছুঁয়ে নীরব সবুজ প্রাণ,
সূর্যের আলো পড়বে ঘাসের ‘পরে
প্রভাত ক্ষণেই পাবে তুমি চেনা ঘ্রাণ।
বেলা বয়ে যাবে নিয়মের পথ ধরে
নিখিলের মাঝে সজীব প্রাণের রেশ,
ঠিক অবেলায় গোধূলির লাল আভা
তোমার দুয়ারে সীমানার হবে শেষ!
নিঝুম প্রদোষ উৎসুক চুপি মন
অনু-রাধা প্রাণে আলোর অকুলান,
অকথন যত প্রকাশ নীরব ভূমে
স্থির কনীনিকা অশ্রুতে রবে ম্লান!
বহু পুরাতন কোন নির্জন স্থানে
জোনাকি আলোয় রাত হবে চুপ চাপ
ফিরে দেখো তুমি আঁধারের মুখ পানে
উজ্জ্বল হাসি নেই কোনো অনুতাপ।


রচনাকাল : ২০১৭-১৮


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী। ১৩ আগষ্ট, ২০১৮ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২ অক্টোবর, ২০১৮ না ফেরার দেশে চলে যান। তিনি বাকুঁড়ার সকলের প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তার সাহিত্য ও সেবার মাধ্যমে। তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান”। ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন।সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।