কে নিলি আজ আঁতুড় থেকে
তুলে রাতে তারে -
ঢুকিয়ে দিলি শিবের ত্রিশূল
ছোট্ট মেয়ের দ্বারে !
ধর্ষক দেখো দক্ষ ভীষণ -
স্বার্থক মুসলমানি ,
হাজার ক্রুসের ধাতব লিঙ্গে -
ধর্মেই রাহাজানি ,
উপত্যকায় নগর গায়ে -
সীমান্তের দেবালয়ে ,
ধর্ষিতা " মা ভারত " আমার -
ঘুমায় বেহুস হয়ে !
পদযাত্রা মিটিং মিছিল -
কাজনেই আন্দোলনে ,
মেয়ের ইজ্জত সব খানে যায়
মদিনা বৃন্দাবনে !
পোশাক দিয়ে ঢাকবে কোথায় -
ওমা তোমার মুখ ,
রাজতন্ত্রের চামচা ওরা -
ভীষণ দূর্মুখ !
অপকর্মের নিশান মিটায় -
পাথর ছুড়ে মারে ,
আয় "আসিফা " , "নির্ভয়া " আয় -
আমার কুঁড়ে ঘরে ।
লাথি মেরে মারবো ওদের -
করবো লিঙ্গহীন -
প্রতিবাদের বাহুর জোরেই -
আসবে রে সুদিন ।
১৩ / ৪ / ১৮ নিরক্ষর ।


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী। ১৩ আগষ্ট, ২০১৮ তারিখে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি দুর্গাপুর (পশ্চিমবঙ্গ) গৌরিদেবী হাসপাতালে ভর্তি হন। সকলের প্রার্থনাকে মিথ্যে প্রমাণিত করে তিনি ২ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে না ফেরার দেশে চলে যান।  তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)। বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।