সোহাগের এলোমেলো ঠোঁটে উঠে -
বৈশাখী ঝড় ,
যত্নের তাঁত শাড়ি -
হাঁটুমুড়ে মরুপ্রান্তর !
দৃষ্টি থমকে যায় , উড়ে থাকা পিঠের আঁচলে
হঠাৎ অস্থির মন পৃথিবীর দিক যায় ভুলে !
নির্মম ঝড়ের মাঝে পুলক আছড়ে পড়ে পথে ,
তোলপাড় হৃদয়ের কিছু কথা -
অস্পষ্ট ইঙ্গিতে ,
সজনের ডাল ভাঙ্গে - পাতা উড়ে শিমুলের হাটে ,
সোহাগের ঠোঁট শুধু হাটবারে ভিজে একা মাঠে !
সে সময় ঘরে ফিরে গাভী সব নিশ্চিন্ত গোয়ালে ,
ঝড় শেষে চেয়ে দেখি পুরানো ছবির মত -
ভাবনারা দোলখায় দেয়ালে ।
১০ / ৪ / ১৮
তপন সৎপথী


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী। ১৩ আগষ্ট, ২০১৮ তারিখে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি দুর্গাপুর (পশ্চিমবঙ্গ) গৌরিদেবী হাসপাতালে ভর্তি হন। সকলের প্রার্থনাকে মিথ্যে প্রমাণিত করে তিনি ২ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে না ফেরার দেশে চলে যান।  তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)। বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।