যে যার মত


অদ্ভুত রোজ আঁচল ঢাকা বেলা,
কাটায় বেলা উদাস সারাক্ষণ!
বুনন খানি আলগা সুতোয় তার
সজাগ চক্ষু নিত্য নিরীক্ষণ।
আমার বলার কী আছে আজ আর!
যে যার চলন নিজের মত করে,
ইচ্ছে হলে দেখবে চেয়ে পথে
সেই ছেলেটি বাড়ছে পথের ধারে!
সকাল থেকেই যায় যে কতক জন
দিনের আলোয় রাতের স্বপ্ন চোখ,
অধর ঢাকে ছোট্ট রুমাল দিয়ে
মিটায় নিশান লুকায় স্বপ্নলোক।
পাঞ্জাবিটা খোলাই থাকে রাতে
ভাঁজ পড়েনি শরীরেরই ভারে,
গায়ের গন্ধ হারিয়ে যায় ঠিক
আতর দিয়ে স্নানের শেষে ঘরে।
পথের কথা পথই জানে বেশ
লজ্জায় পথ নিজের মুখটি ঢাকে!
নম্র ভদ্র বিনয়ী সব জন
সুযোগ বুঝে একটু ছুঁয়ে দেখে!
পরম সুখে সুখী সকল গুণী
অল্পে তাদের মন ভরে যায় রোজ,
বেশির আসায় নিজে বুঝায় নিজে
আত্মতুষ্টি নিমিত্ত মন খোঁজ।
স্বর্গ সুধায় দিন রাত্রি পার
অপ্সরাদের হাতের ছোঁয়া পায়,
যে যার কাজে প্রকাশ ভিন্নরূপ
ঘরের লক্ষ্মী নীরব পথে চায়!


রচনাকাল: ২০১৭-১৮