প্রায়ই দেখি পোড়ো ঘরে একাই আসে
এই পথেতে ঠিক অবেলায় না হয় রাতে ,
দেখলে যদি শুধাই তারে এই দিকে কি
অমনি দেখি মুখটি লুকায় আঁচল হাতে !
গাঁয়ে পাড়ায় দেখে তারে অনেক লোকেই
সঠিক যাওয়ার কারণ খানি কেও বুঝেনি ,
কি দেখতে যায় যে গায়ের পথটি ধরে
কি আর এমন , ইচ্ছা করেই কেও খুজেনি ।
দেখলে বুঝায় একদিন ওর শরীর জুড়ে
শুধুই ছিল অহংকারী রূপ খানি তার ,
আজও রোদে সবটি পুড়েও স্পষ্ট সেটি
ঢাকা অঙ্গ দেয় যে উঁকি এধার ওধার !
বক্ষ মাঝে আজও সতেজ ইশারা তার
কোমর খানি আজও কিছু ভাঁজে ভরা ,
নিতম্বে তার খেলে আজও আঁচল খানি
শুন্যতা তার গভীর বুকে আছে ধরা !
সাহস করে দেখবো আমি শুনবো কথা
শুনবো বলে সাঁঝের আগেই পৌঁছে গেছি ,
এমন সময় আসলে কাছে চোখের জলে
বললে আমায় আসবে কুমার দাঁড়িয়ে আছি !
ঝাড় বাতিটা জ্বালিয়ে দাও জলসাঘরে
একটু পরেই কুমার সাহেব পৌঁছে যাবে ,
নায়েব মশাই রাত শিকারে গেছেন দূরে
বাগান ঘরে সারারাত আজ কুমার রবে !
কলমী তারে স্বাদ পুরাবে রাতটি জেগে
জলসাঘরে পুড়বে আজি হৃদয় দুটি ,
অভিসারী কলমী আজ বাসর সাজে
ফুল বুঝি আজ শিউলি শাখায় ফুটবে উঠি ।
অনেক রাতে পোড়ো ঘরে পেয়ে আমায়
বললে জানো নায়েব রাতে আসত রোজই ,
কুমার ছিল আত্মভোলা কলমী পাগল
আজও আসে জলসাঘরে আমায় খুঁজেই !
এমনি সেদিন কিসের শব্দে ডাকলো পেঁচা
ডালের সকল ক্লান্ত পাখি উড়ল রাতে !
ঝড়ো হাওয়ায় ঝাড়বাতিটার নিভল আলো
নিথর দেহে কুমার শুধুই আমায় চেয়ে !
কুটিল নায়েব নীল দখল রাজমহলের
আমার কুমার আর আসেনা জলসাঘরে ,
সেদিন থেকে প্রায়ই আমি আসি হেথায়
কুমার যদি খুঁজে আমায় যায়গো ফিরে !!
..... 18 . 3 . 2017 ...........



কবি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা আগামী বইমেলায় প্রকাশ করার পরিকল্পনাও ছিলো।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।