ক্লান্ত বেলা


সুদূর সন্ধ্যা হাতছানি দেয় রোজ
ক্লান্ত বিকাল আমার পিছে যায়
গোধূলির ওই লাল আভাতে মিশে
জ্যোত্স্না যেন আসার পথে চায়॥
তখন আমার অনেক থাকে কাজ
শূন্য ঘরে কিছু গোয়াল ঘরে
একটু পরেই ডাকবে জ্যোত্স্না এসে
সোনালী রং আঁধার আলো করে॥
বাঁচার তেমন দায় নেই আর আজ
আছি বেঁচে যাচ্ছে জীবন চলে
মায়ের স্নেহের আঁচল গেছে ছিঁড়ে
প্রিয়ার আঁচল স্বপ্নে রাতে দুলে॥
তবু জীবন বইতে হবে জানি
ইচ্ছে হলেও যাচ্ছি কোথায় কই
রোজই ডাকে ছোট্ট আমার মেয়ে
দিগন্তে তার আপন ঘরে ওই॥
সান্তনা দি নিজেই নিজের প্রতি
কাজ আছে মা এখন অনেক খানি
তোমার মায়ের শিউলি ফুলের গাছে
ফুল ফুটছে সে ফুল ভীষণ দামি॥
সত্যিই তো দামি তারই ফুল
ভোরের বেলা সবাই আসে আজ
ভাগ করেদি শিউলির সব ফুল
নিত্য ভোরে আমার বড়োই কাজ॥
কোনো কোন দিন ফুল কিছু নি সাথে
রাতের বেলায় খোঁপায় দেব বলে
স্বপ্নে এসে পাতবে আঁচল খানি
খোঁপার সুবাস নেব ক্লান্তি ভুলে॥
ভোরের শালিক ঘুম ভাঙিয়ে যায়
প্রভাত আলো আসে জানলা পরে
উদাস সকাল ডাক দিয়ে যায় রোজ
কাটাই জীবন আমার শূন্য ঘরে॥


রচনাকাল ২০১৭-১৮