আদটি বংলা এখন দেখি আলিপুরের ঘরে
মনুমেন্টে চড়লে সবাই দেখতে পাবে তারে ,
একাডেমির সাধের নামে বিকায় বুদ্ধিজীবী
জেলায় গাঁয়ে কাব্য মেলায় এখন শুধু লবি !
তারামণ্ডল উল্টে থাকে আকাশ দেখা যায়
ঘাসের চেয়ে অধিক মানুষ ভিক্টরিয়ার গায় ,
বললাম তো সভ্যতা আজ আলিপুরের খাঁচায়
প্রতি বাদী বাংলা এখন ফালতু শুধুই চেঁচায় !
ইচ্ছে হলেই বিকতে পারি এন্টালি চিতপুর
মেটিয়া বুরুজ স্বাধীন কোথায় গঙ্গা কোথা দূর ,
মন চাইছে কালীঘাটেই ঈদের নামাজ হোক
গড়ের মাঠে উভয় দলের থাকুক কিছু লোক ,
চাইলে আমি দিয়ে দেবো শ্যামবাজারের ঘোড়া
নামিয়ে দেব নেতাজিকে স্ট্যাচু মানেই খোঁড়া !
এইতো সেদিন লেলিন স্টালিন শ্যামাপ্রসাদ মধু
চিনেই ওরা ভাঙলো তাদের মূর্তি গুলো শুধু ,
সভ্যতা তো হাতের মুঠোয় আস্ফালনেই সার
ঘরগুলো সব হচ্ছে উঁচু আমি আদিম নচ্ছার ।
৬ / ৫ / ১৮ তপন সৎপথী ।


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী। ১৩ আগষ্ট, ২০১৮ তারিখে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি দুর্গাপুর (পশ্চিমবঙ্গ) গৌরিদেবী হাসপাতালে ভর্তি হন। সকলের প্রার্থনাকে মিথ্যে প্রমাণিত করে তিনি ২ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে না ফেরার দেশে চলে যান।  তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)। বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।