পুরাণ সঙ্গম


ইতিহাস পিছে ডাকে নির্ণায়ক চুপ
ভবিষ্যৎ লুকাইয়া অনাগত পথে
আবির্ভূত যাহা কিছু আবর্তনে মত্ত
জ্ঞানাঞ্জন চতুর্বিধ প্রবঞ্চন সাথে।
সম্মুখে শুনিতে পাই অদ্ভুত নির্দেশ,
অসাম্যের নাগপাশে অশরণ ক্ষেত্র,
হতভাগ্য জনগণ শেষ ভিক্ষা চায় –
মহাশক্তি প্রদর্শনে সীমান্তে দৌরাত্ম্য!
হিম ঘরে রাখা থাকে শহীদের প্রাণ
তীরন্দাজ নিশানিছে অবলা সবলা,
কৃষ্ণ গহ্বরের মাঝে অনাদি নিস্তেজ
মূর্খের নির্দেশে যত চলে ছলাকলা!
জ্বলন্ত লাভায় দুগ্ধ পাণ্ডুলিপি আজ
ভিসুভিয়াসের গায় অঙ্গারের স্তূপ,
দেখিওনা পথ মাঝে নরের কঙ্কাল
ছিন্ন শির থাক পড়ে সকলি নিশ্চুপ।
কোমল প্রভাত হবে রজনীর শেষে
দিবস হাটিবে পথে তোমারই সনে,
অবেলায় দূর পথে বিহঙ্গের দলে
নিধুবনে দাঁড়াইও আঁধারের ক্ষণে।
হয়তো প্রহর শেষে কাল পেঁচা আসি
উঠাইয়া লবে শব গুহার আঁধারে,
নিশ্চিন্তে থাকিবে তুমি আমারই সনে
যেথা মেঘ মিশে রবে দূর পারাবারে।
একদিন শান্ত হবে বীরের বীরত্ব,
দিকে দিকে পুষ্পে পত্রে ভরিবে অঙ্গন,
জাগাইও তুমি মোরে ধুলা হতে তুলি
ইতিহাসে পুরাণের দেখিব সঙ্গম।
রচনাকাল: ২০১৭-১৮