প্রথম ফাগুন
   তপন সৎপথী


পলাশ বনে খেলব আজি রঙের খেলা ,
রাঙিয়ে দেব তোমায় আমি আগুন রঙে !
ভিজিয়ে দেব সারা শরীর রং পলাশে
ভিজে গায়ে রইবে তুমি আমার সঙ্গে ।
চেয়ে শুধু থাকবোনা না আজ পলাশ ফুলে ,
বসন্ত আজ যতই থাকুক হিমেল গায় ,
রঙে ভিজে শরীর দুটি রাঙিয়ে নেব
ফাগুন দিনে পলাশ বন ওই ডাকছে আয় ।
তাই তো তোমায় ইসারাতে ডেকে পথে ,
লুকিয়ে আমি সকাল থেকে বসে একা ,
জানি তুমি সাজবে এসে কৃষ্ণচূড়ায়
পলাশ ফুলে রইবে ঢেকে না যায় দেখা !
ভিজলে রঙে শরীর তুমি ঢাকবে কিসে !
ফাগুন যে আজ লাগিয়েছে আগুন মনে ,
বসন্তেরই মাতাল হাওয়া বইছে তাতে
প্রজ্বলিত আগুন খেলুক তোমার সনে !
দোয়েলরা সব নেচে বেড়ায় ডালে ডালে ,
কৃষ্ণচূড়া ফুল ছড়িয়ে দাড়িয়ে পথে ,
ফাগুন দিনে রং মেখেছে বসন্ত আজ
দেখবে ওরা আজকে তোমায় আমার সাথে ।
লাগাই বসে লুকিয়ে রাখা রঙ টুকু সব ,
ভিজাই তোমার অঙ্গ খানি রঙে আমার ,
গোপন কেন লাগুক না রঙ শরীর জুড়ে
দেখবো চেয়ে ভিজে গায়ে কাঁপন তোমার !
বসন্তের ওই হিমেল হাওয়া বইবে যখন ,
পলাশ বনের শাখায় শাখায় ফুলে ফুলে ,
শীত ঢাকতে জড়িয়ে নেব তোমায় আমি
ভিজে বসন রেখে দেব পলাশ ডালে ।
সকাল শেষে দিন গড়াবে কখন জানি ,
তোমার কাপড় ফাগুন বেলায় শুকিয়ে নেব ,
আঁধার যখন ঢাকবে পথ দক্ষিণ ঘরে
খেলা শেষে আমরা দুজন বেরিয়ে যাব ।
পলাশ তুমি রাঙিয়ে দিলে দুইটি প্রাণ !
কৃষ্ণচূড়া রাঙালে আজ হৃদয় দুটি !
প্রথম ফাগুন ভরল শাখা ফুলে ফুলে
বসন্ত আজ রাখলো না তো কোন ত্রুটি ।


রচনাকাল : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮