সেদিন ছিল


সেদিন ছিল এমনি শ্রাবণ দিন
সারা আকাশ বাদল মেঘে ঢাকা,
কিসের কাজে গিয়েছিলাম গাঁয়
সে ছিল তার নিজের ঘরে একা।
চিকন কালো শরীর খানি জুড়ে
হলুদ বসন আলোর মত ভাসে,
উঠান পরে গোধূলি লাল আভা
খোলা পিঠে খেলছিল তার মিশে!
প্রায়ই পাগল করত গায়ের রং
ঘামের গন্ধে মন হারাত রোজ,
নিম তেলেরই উদাস করা নেশা
ইন্দ্রিয় সব করতো সুপ্ত খোঁজ!
ইচ্ছে হতো থাকি খানেক ক্ষণ
হরেক কাজের আছিলাতে বেশ,
কিংবা বিকাল যাক ফুরিয়ে দ্রুত
সন্ধ্যা হোক কালোয় নিরুদ্দেশ।
হয়ত সকল বুঝত আমার ঠার
অনেক খানি না বোঝারই ভানে,
চেয়ে দেখত আকাশ গাঢ় নীল
মেঘেরা সব খেলে নীল-আসমানে!
দৃপ্ত বক্ষ নিতম্ব আনমনা
আঁচল লুটায় ঝাটার পিছে পিছে,
নাভি খানি শুধুই ধুলা মাখে
কটির বাধন থাকত অনেক নীচে।
সাঁঝের প্রকাশ বুক দূর দূর তার
প্রতি ভাঁজে কালোর মাখা মাখি!
সন্ধ্যার সাজ দেখবো যখন ভাবি
বলতো আমায় রাত্রি অনেক বাকি।
অনেক কাছেই ছিলাম আমি তার
আরো কাছে চাইছিল মন পেতে,
সাঁঝের আলোয় নম্র মুখে বসে
বলেছিল নিবি কি তোর সাথে!
জ্যোত্স্না আলো হারালো পথ পরে
কালো হলো আলোয় নিরুদ্দেশ,
ইচ্ছা সকল মুখ লুকালো সাঁঝে
গাঁয়ের পথটি সেদিন হলো শেষ।


রচনাকাল: ২০১৭-১৮