তব - চরণে


অসীম সাগর মাঝে রেখে গেলে তুমি
কুলের ঠিকানা খানি দাও বলে এসে,
নীল জলরাশি মাঝে উন্মত্ত সব ঢেউ
হয়তো ভাসায়ে নিয়ে যাবে দূর দেশে।
অনন্ত আকাশ দেখি ছেঁড়া মেঘ গায়
সুদূর দৃষ্টির পথ শূন্য দিকে দিকে!
আলোক বর্ম গায়ে মধ্যাহ্নের রোদ
সমীরণে খেলে জল ঢেউ এঁকে এঁকে।
দু-এক শঙ্খ চিল ভাসে দূর মেঘে
আড় চোখে দেখে দেখি উড়ে প্রতীক্ষায়,
কোথাকার কানা বক দিক ভুলে ডাকে
অসীমের মাঝে ভাসে কারো অপেক্ষায়!
সূর্যের প্রখর রোদ্রে পুড়ে দুই চোখ,
বিশাল জলরাশি মাঝে জ্ঞান শূন্য আমি,
কোথায় লুকায়ে ওগো নিস্তারিনী দেবী
চরণের পরে আজ স্থান দাও তুমি!
লক্ষ ধুলার কণা তব পদতলে
তারি মাঝে স্থান টুকু করে নেব নিজে,
অপমৃত্যু মহাপাপি করো না আমায়
অশ্রুতে চরণ ধুয়ে রব চক্ষু বুজে!
মনস্তাপ থাকবে না কোনোই আমার
পরম আনন্দে দিন কাটিবে ধরায়,
নাহয় স্বর্গলোকে দাস হয়ে রব
নিত্য পূজার ছলে দেখিব তোমায়।
বৃথা সুখ মিথ্যা মোহ থাকি সব ভুলে
অপরূপ সুখ শান্তি বিরাজিত ধরায়,
দেবী তুমি মাতা মোর পুত্র স্নেহ মাগি
নিস্কলঙ্ক জন্ম হোক তব করুণায়!!


রচনাকাল: ২০১৭-১৮