আমি নিত্য তোমার চলার পথের সঙ্গী ছিলেম
কখনো মুক্ত বিহঙ্গ বা রৌদ্র হতে চাইনি
সুতো কাটা ঘুড়ির মত মাতাল হাওয়ায় কখনো ভাসিনি এদিক সেদিক
মধ্য রাতের নিস্তব্ধ শহরের মত নীরবতায় নীরবতায়
শীতের রাতের সমস্ত শিশির শুষে নিয়ে
আমার সমস্ত সবুজ দুর্বার ডগ জুড়ে বিন্দুতে বিন্দুতে সাজিয়েছি দ্বীপ
তুমি শীতল কোনো এক কাক ভোর সকালে
উলঙ্গ তোমার পদ তলে মাড়িয়েছ আমার সাজানো দুর্বার বাগান
শিশিরের স্বচ্ছ জলে পদপৃষ্ঠ ছুঁয়ে কালিমা মুছে নিয়ে হয়েছ মুগ্ধ



অচিরেই আমি যে স্বপ্নের বাগান বুনেছিলাম
মৌ আর মিতার মাঝে অধিকারের রাজত্বে বেঁধেছিলাম যে মিতালী
সরলতার সরল রেখায় রূপকথার গল্প শুনিয়ে শুনিয়ে অবসান দিলে তার
একে একে তোমার যত ছিল  সৈনিক কেরে নিল রাজা-রানী
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা মিতালীর দল গুলি
তোমার ঘোড়ার চালে তাল মিলিয়ে জব্দ করল আমায়,



শেষ রাতের সীমায় চোখ খুলে দেখি...
ঘাস ফুল গুলো লোচন কোনে রেখে জল করে নত মাথা
সবুজের বুকে এলিয়ে দিয়ে গা
ক্লান্ত শরীর জুড়ে আবিষ্কার করে চলে শান্ত এক একাকীত্বের খেলা।