পথ প্রান্তে দাঁড়াইয়া সজনী চিত্তে দিতেছ শান্তি।
ঐপথ ধরিয়া আসিতেছি মুই,লাগিতেছে মোর ক্লান্তি।।
চক্ষু দুইটা তুলিয়া মুই দিলাম তোমার ও পানে।
চলিতে গিয়া দাঁড়াইয়া পরিলা,বুঝিলামনা তাহার মানে।।
আপন মনে মুই ভাবিতে লাগিলাম,ডাকিবা বুঝি মোরে।
মধুর ঐ বাক্য বাহির করিবা ধরিয়া দুই হাত জোরে।।
বুকেরি মাঝে লইব টানিয়া প্রিয়া তোমার ঐ মাথা।
কর্ন পাতিয়া বুঝিয়া লইবে অন্তরের বন্দী ব্যথা।।


ভাবিতে ভাবিতে মধ্য পথেই পরিয়াছি দাঁড়াইয়া।
হস্ত ধরিয়া কেহ যেন মোরে দিতেছে সরাইয়া।।
ঝাপসা চোখে তাকাইয়া দেখি রহিয়াছ তুমি বাড়ি।
আমার শুধু দুই চক্ষু হইতে ঝরিতেছে কেবল বারি।।
ধিরে ধিরে মুই দুই হাত দিয়া মুছিতেছি চোখের পানি।
ভাবিতেছি মুই হইবা বুঝি তুমি অন্য ঘরের রানি।।
ভুলিয়া জাইবে আমাকে তুমি,রাখিবেনা মোরে মনে।
তোমাকে আমি ভাবিয়া জাইব প্রতিদিন প্রতিক্ষনে।।


দমকা বাতাস বাড়িয়া চলিছে,উড়িতেছে ধূলি কণা।
বাতাসের সাথে উড়িয়া চলিছে তোমার ঐ বক্ষের ওড়না।।
আজিকার এ দৃশ্য পরিবে মনে যতদিন থাকিবে ঝড়।
ততদিনে বুঝি আমাকেও তুমি করিয়া দেবে পর।।
তবুও তোমাকে রাখিব ধরিয়া সারাটি হৃদয় জুরে।
হইলে সময়,যাইব চলিয়া কাছে থেকে অনেক দূরে।।
আসিবোনা ফিরে কোনোদিন আর এই পৃথিবী মাঝে।
সারাটি সময় থাকিও সাজিয়া রং-বেরং এর সাজে।।