সখি তোমার পরশ নিতে
আমি নতুন হয়ে হয়েছি উদিত তোমার ধরনীতে;


ছিলেম অস্ত জাবার প্রায়
পশ্চিমি জুরে রাজত্ব আমার নিঃশেষিত মহিমায়,
ঝলসানো দেহ
বোঝেনি কেহ,
গোধূলি মাখা পথে...
শেষ বাতাসের বাতায়ন ঝাপটে লাগাম টেনেছে রথে;
মরণাপন্ন হায়....
ভাঙা তরী বুঝি ডুবলো এবার অতল সীমানায়।


তব তোমার পরশ
চৈত্র-বৈশাখী নিরস ভূমিতে একরাশ স্বপ্ন সরশ,
সতেজতার আন্দোলনে
আলোরন সীমায় পলে পলে তুমি আমার জাগরণে
বিছায়ে দিয়েছ তোমার উৎসাহ আর অনুপ্রেরণার আচল,
ঠায় দিয়েছ তোমাতে আমায় চিরন্তন অনর্গল।


সখি তোমার পরশ নিতে,
পশ্চিমি ছেরে ঠায় নিয়েছি পূবের আঙিনাতে।


আজি এ প্রভাত স্নিগ্ধ সকাল কুয়াশা-শিশির- ঘাসে,
জীবন-জবনিকায় চাইনে জবনিকা,জবনিকা জদি আসে;
তোমাতে কেবল তোমাতেই চাই হতে অবিনশ্বর,
অনন্ত কালের সাথি হতেচাই তোমাতে জীবনভর।।