কেঁদোনা
................তপন বাড়ৈ
কেঁদোনা তুমি,বাঁধিয়া রাখো,দিওনা ওজল পরতে,
কেঁদে কি হবে,পারবে কেঁদে নিয়তিকে ঠিক করতে!
পারবেনা,তবে কাঁদছ কেন?হচ্ছে মৃত্যু ভয়,
প্রত্যেকেরই এই দুনিয়া ছেরে চলে যেতে হয়।
পৃথিবীতে তুমি এসেছ যখন তোমাকে হবেই যেতে,
স্বর্গ তোমায় নেবার জন্য রেখেছে আঁচল পেতে।
দুঃখ বলে জীবন টাকে কাটিওনা অবহেলে,
যতদিন বাঁচো ততদিন তুমি কাটাও হেঁসে খেলে।
..
নিস্পাপ তোমার চোখের জল এনোনা চোখের কোনে,
জীবন আঁধারের গোপন ব্যথা জমিয়ে রেখোনা মনে।
গোপন ব্যথা ভাবিয়া তুমি নিজেকে দিওনা কষ্ট,
সুন্দর তুমি,নিজেই গোলাপ,নিজেকে কোরোনা নষ্ট।
ধিরে ধিরে তুমি পাপড়ি খোল হওগো বিকশিত,
প্রজাপতিরা তোমার মুখশ্রী দেখে হউক গো মুখরিত।
ফুলিয়ে দিওনা কান্না করে তোমার ঐ চোখের পাতা,
ভ্রমর দলের মনো গহীনে দিয়োনা তুমি ব্যথা।
..
সুন্দর তুমি,আবারো বলি,তুমিই স্বয়ং গোলাপ,
হাজারো ভ্রমর তোমার সঙ্গে করবে এসে আলাপ।
তোমার শিরটি কানন মাঝে উচ্চে রাখো তুলি,
বাতাসের সাথে মিতালি কর দুঃখ যাবে ভুলি।
চুপকরে তুমি থেকোনা বসে ভেবোনা তুমি একা,
পথ চলতেই বিপদ আসে এটাই বিধির লেখা।
কেঁদনা তুমি ভ্রমর প্রিয়া ফেলনা জল গুলি,
মিতালির সাথে সুখে ভাসিয়া দুঃখ জাও ভুলি।।