নতুন পরিচয় - তপন বাড়ৈ
................................................
নরপিশাচের কবলে যখন ক্রুদ্ধ বাঘিনী
সর্বশেষ থাবাতেও রেহাই মেলেনি সম্মান বাঁচাবার,
ঘামে ভেজা শিথিল শরীরের তখন
কাঁচা মাংস ছিঁড়ে খাচ্ছিল পিশাচের দল।


আগামীর স্নিগ্ধ প্রভাতে নাম মিল্ল ‘ধর্ষিতা’।


মধ্যরাতে যখন দরজা খোলে নিষিদ্ধ পল্লি
বাতাসে মেশে নিকোটিনের ধোয়া
কিংবা দেশি-বিলাতির তরতাজা নগ্ন বাক্,
বিনিময় প্রথার হাঁট বসে রাজপথে ।


ধর্ষিতা তখন যুদ্ধে রত।


পতিতালয়ে ধর্ষিতার বসবাস বারোমাস,
নিষ্পাপ চোখের জলে শীতঘুম জমা রেখে
শিকারের আগুন জ্বলন্ত অহরহ।


ইতিহাস লুপ্ত হয়,
কবরীর সৌরভি জুঁই আর আতরের তীক্ষ্ণ গন্ধে
নতুন পরিচয় মেলে কৃত্রিমতায় পূর্ণ প্রেমের,
উপহার দেয় বারংবার বিনিময়ের বাসর খাট ।


সমাজের ভ্রুকুটির নির্লজ্জ পরিহাসে
ধর্ষিতার কভু নিজ সমাজে ফেরা হয়না।
আর নরপিশাচের বসবাস বারোমাস সভ্য সমাজেই ।