কোথায় যেন তোমাকে দেখেছিলাম-
মনে পড়েছে,
তেপান্তরের মাঠে।
কত ছাগ শিশু খেলছিল,
কত শত সাদা বক ছিল সেই মাঠের সৌন্দর্য্য।
বাছুরেরা তাদের মা-এর দুধে,
মুখে সাদা গ্যাজলা-
নিস্পাপ, চঞ্চল, হাসি-খুশি অবলা।
আমি উদাস হয়ে দেখতাম,
সবুজ সবুজ আর সবুজ মাঠের শোভা।
একটাই রং সবুজাভ চাদর।


মনে পড়ছীকদিনের ঘটনা-
আমি তন্ময় হয়ে কী যেন ভাবছিলাম,
হারিয়ে গিয়েছিলাম স্বপ্নের রাজ্যে
হটাৎ দেখলাম আমার ছায়া-
আমার থেকে অনেক অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে
অনেক বড়, অনেক লম্বা!
বূঝলাম, তুমি চলে যাচ্ছ।
না, এতটুকু খেদ ছিলনা তখন,
কারণ-
আমি জানতাম কাল আবার তুমি আসবে।
আবার আমি এই মাঠে-
এই জমিনে সময় কাটাবো ভাবনায়।


কিন্তু হায়!
তখন ভাবিনি ঐ স্বপ্ন, সঃস্বপ্ন হবে।
কারা যেন সব চুরি করে নিয়ে গেল।
সেই ছাগ শিশু, সেই ধেনু, সেই বাছুর
আজ আর নেই তেপান্তরের মাঠে।
আছে শুধু হাড়ি-বাড়ি-গাড়ি।
সবুজাভ চাদর আজ চাপা পড়েছে পাথরে
তার রং হলুদ!


তোমার আসা যাওয়া আমি দেখিনা,
দেখতে পাইনা-
দেখতে দেওয়া হয়না।
দেখি শুধু আমার ছায়া।
সে আরো বড়, আরো লম্বা-ভয়ংঙ্কর।


এখন আমার পাশে কেউ নেই
শুধু আমি আর আমার ছায়া।